রাজশাহীতে গণটিকায় স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ

রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে করোনার গণটিকা প্রদান কার্যক্রম। এতে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন নিবন্ধন করা ব্যক্তিরা। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে নগরী ও জেলায় শুরু হয় এ গণটিকা প্রদান কার্যক্রম। এতে কেন্দ্রে এসে স্বাচ্ছন্দে টিকা নিয়েছেন, আবার অনেকে কর্মরত অফিসের চাপে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
নগরীর গণটিকা প্রদানের কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, টিকা গ্রহণে বেশ আগ্রহী সাধারণ মানুষেরা। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় সকাল থেকেই। দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা সুশৃঙ্খলভাবে পর্যায়ক্রমে টিকা প্রদানের কক্ষে ঢুকান। তবে বাইরে লাইনে ছিল বেশ ভিড়। কোনো দুরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায় নি। টিকা নিয়ে চলে যান নিজ নিজ বাসায়।
টিকা গ্রহণের পর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বেচ্ছায় তারা টিকা নিয়েছেন। টিকা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো ভীতি কাজ করছে না। নিবন্ধনের জন্যও কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নি তাদের। তাছাড়া অনেকগুলো কেন্দ্রে টিকা দেয়ায় তাদের বাড়তি কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় টিকার জন্য এসে বসছেন এবং টিকা গ্রহণ করে নিজে থেকেই তারা চলে যাচ্ছেন। টিকা গ্রহীতাদের কোনো সমস্যা হয়নি। নারীরাও স্বতস্ফুর্তভাবে টিকা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ৮৪টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ জননের মাঝে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন চলমান এ টিকা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান টিকা মজুদ রয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাউয়ুম তালুকদার বলেন, রাজশাহী জেলার ৭৩টি ইউনিয়নেই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে ৬০০ জন করে টিকা পাবেন। টিকাদানে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি ও নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। প্রথম দিনে সকাল থেকে প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
আরপি/আআ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: