রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

করোনা হাসপাতালে রূপ নিচ্ছে রাজশাহী সদর হাসপাতাল


প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২১ ০০:২৭

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৮

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে হচ্ছে ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল। এক সময়ের সদর হাসপাতাল সংস্কার করে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সার্ভিসসহ করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার অংশ হিসেবে অবকাঠামো পরিদর্শনও করা হয়েছে বলে জানান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

তিনি বলেন, করোনার ভাইরাস নিয়েই আমাদের থাকতে হবে। তাই একটি সম্পূর্ণ করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা হয়েছে। তারাও এটাতে রাজি আছে। আমাদের প্রস্তাবনা পাঠাতে বলা হয়েছে। সেটি তৈরীর কাজ চলছে। সেন্টাল অক্সিজেন সার্ভিস, চিকিৎসক ও জনবলসহ প্রস্তাবনা পাঠাবো।

শামীম ইয়াজদানী বলেন, যত দ্রুত সম্ভাব আমরা এ হাসপাতালটি চালু করতে চাই। তবে অবকাঠামো নির্মাণ করে সেন্টাল অক্সিজেন সেন্টার বসাতে সময় লাগে দুই/তিন মাস। কিন্তু এর আগে আমরা ওয়ার্ড চালু করতে চাই।

জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী সদর হাসপাতাল। অথচ একসময় এই হাসপাতালটিই ছিলো এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের একমাত্র চিকিৎসার ভরসা। তবে করোনা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তার কথা। তাই জনস্বার্থে সদর হাসপাতালটি আবারও চালুর দাবি উঠে চিকিৎসকসহ ও সচেতন মহলের।

১৯০২ সালে ব্রিটিশদের নির্মিত এই ভবনেই প্রথম শুরু হয়েছিলো রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ধীরে ধীরে মেডিসিন, নাক-কান-গলা, হাড় জোড়া এমনকি অপারেশন সেবাও চালু হয় এখানে। যা ১৯৩৮ সালে রূপ পায় সদর হাসপাতালে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের কার্যক্রম শুরু হলে পর্যাক্রমে বন্ধ হয়ে যায় এই হাসপাতালটি। তবে করোনার এই মহামারিতে করোনা রোগীর চাপ ও সাধারণ রোগীদের সুরক্ষায় সদর হাসপতালটি আবারো চালু করা প্রয়োজন হয়ে দাড়ায়। সদর হাসপাতালে বর্তমানে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে রাজশাহী মেডিকেলের ডেন্টাল ইউনিট।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে তারা মারা যান। এর মধ্যে চারজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল। আর বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন ও রাজশাহীর তিনজন। আর মারা যাওয়া করোনা আক্রান্ত চারজনের মধ্যে তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ও একজন রাজশাহীর।

শনিবার মারা যাওয়া আটজন নিয়ে চলতি মাসের ৫ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে ৩৩ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। শনিবার সকাল পর্যন্ত এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২৪ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। যাদের মধ্যে ১০ জন রাজশাহীর ও ৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের।

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ একদিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বেড়েছে। শুক্রবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় আগের দিনের চেয়ে প্রায় দিগুন বেড়ে রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ দিন শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ছিল ২৬ শতাংশ আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। 

 

 

 

আরপি/এসআর-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top