রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
৮ মে ২০২১ ০৫:০৪

আপডেট:
৮ মে ২০২১ ০৫:১৫

ছবি: বিদ্যালয় মাঠে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী

রাজশাহীর বাঘায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের কাছে স্কুল মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ফতেপুর বাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কয়েক মাস ধরে এ মাঠ দখল করে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী রেখে কাজ করছেন এক ঠিকাদার। ফলে মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচলে নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়ের মাঠসহ সীমানার সৌন্দর্য্য। যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যালয় খুললে পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

স্থানীয় কামরুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে বিদ্যালয় মাঠে রাস্তা সংস্কারের জন্য পিচ ও পাথর পোড়ানো হলে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় আরও অনেকেই বলেন, টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয় মাঠে ঠিকাদারের মালামাল রাখার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

ফতেপুর বাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় মাঠে ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে, সেটা ভাড়া হিসেবে নয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ঠিকাদার আমাকে ৫হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন। তবে সেই টাকা এখনো দেননি ঠিকাদার।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঝন্টু আলী বলেন, আমাকে বিষয়টি জানান নি প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন গত মাসে তার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২ কিলো ২০০ মিটার রাস্তার কাজ পেয়েছেন রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিলন এন্টাপ্রাইজ। সাব লিজ নিয়ে সেই কাজটি করছেন স্থানীয় মাহাবুব আলম নামের একজন। তার পক্ষে কাজ দেখভাল করেন রায়হান আলী। তিনি জানান,মাহাবুব আমার দুলাভাই। তিনি এই এলাকার বিষ্ট মন্ডলের হাটে যাতায়াতের রাস্তার কাজ করছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকা ও জায়গা না পাওয়ায় রাস্তা সংস্কার কাজে নির্মাণসামগ্রী ওই বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী রাখা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম ওবায়িদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিদ্যালয়ের মাঠটি কিভাবে ঠিকাদারকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন। এ জন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোন মালামাল বিদ্যালয় মাঠে রাখার নিয়ম নেই। তবে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ম্যানেজিং কমিটি সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, বিষয়টি এর আগে জানতেন না তিনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

 

 

আরপি/এসআর-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top