রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে একমাত্র বাহন রিকশা, অতিরিক্ত ভাড়ায় নাকাল যাত্রীরা


প্রকাশিত:
১৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:৩৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৩

ছবি: নগরীর রাস্তায় রিকশা

লকডাউনে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বের হওয়াও বারণ। তবে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। কিন্তু কর্মীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা রেখেনি এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই। ফলে সকালে অফিসগামী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সহজলভ্য পরিবহন রিকশা বা অটোরিকশা পাওয়াটাই যেন সোনার হরিণ। এ সুযোগে রিকশাচালকরা ভাড়া নিচ্ছেন দেড় থেকে দ্বিগুণ। সকাল থেকে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

নগরীর রাস্তায় অন্যসময় রিকশা বা অটোরিকশার দাপট থাকলেও সকাল থেকে খালি রিকশার সন্ধান পাওয়া ছিল অনেকটা সোনার হরিণের মতো। রিকশা না পেয়ে নগর ভবন এলাকা থেকে মনিচত্বর সাহেববাজার পর্যন্ত হেঁটে বাজার করতে এসেছেন আব্দুর রহিম। তিনি রাজশাহী পোষ্টকে বলেন, এই পথটুকুর ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। অথচ ফাঁকা রাস্তায় ৪/৫ মিনিটের পথও না। অন্যসময় ১৫ ভাড়া হলেও ২০ টাকা বলার পরেও রাজি হচ্ছে না।

এছাড়া অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে অনেক মানুষকে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কেউবা রিকশা না পেয়ে ভ্যান বা বাইসাইকেলে চলাচল করছে। লকডাউনের প্রথম দিন রিকশায় দুই যাত্রীকে এক সঙ্গে যাতায়াত করতে দেওয়া না হলেও দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুই থেকে তিন জন করে যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা গেছে। এসময় মোড়ে মোড়ে দায়িত্বপালনকারী পুলিশের সদস্যরা বাধা দেননি।

কামারুজ্জামান চত্বর রেলগেটের চিত্রও একই। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও রিকশার সন্ধান পাননি অনেক মানুষ। এসময় যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাত্রা দিতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের। তাদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মী আনা নেওয়ার জন্য কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখেনি।

অফিসগামী মানুষের দাবি গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করতে পারলেও যেন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হয়। এলাকার দুরুত্ব অনুযায়ী যাতে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় এমনটি দাবি যাত্রীদের।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top