রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


হরতাল, অবরোধ ও সহিংসতা : কী বলে ইসলাম?


প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৫১

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৪

ফাইল ছবি

বাঙালি জাতির জীবন-ইতিহাস সংগ্রামমুখর। হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি লড়াই-সংগ্রাম করেছে শোষণ-বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ফসল বাংলাদেশ। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা, ধনী-গরিব, কৃষক-শ্রমিক নির্বিশেষে বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মুক্তিসংগ্রামে যোগদান করেছে। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। পেয়েছি শস্য-শ্যামলা, সুজলা-সুফলা, সুন্দর সুশোভিত একটি ভূখণ্ড- বাংলাদেশ।

মুক্তিযোদ্ধাদের চোখেমুখে ছিল মুক্তির স্বপ্ন। ছিল স্বাধীন জীবন ও জীবিকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। ছিল নিরাপদ জীবনের কামনা। ছিল আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার উদগ্র বাসনা। সেসব লুক্কায়িত ও লালিত স্বপ্নকে রূপায়িত করতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সমাজতন্ত্রের কারারুদ্ধতা, সামরিক শাসনের বেষ্টনিবদ্ধতা ও রাজতন্ত্রের এককেন্দ্রিকতার বিপরীতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে উত্তম বিকল্প ভাবা হয়ে থাকে। বড়ই পরিতাপের বিষয়, গণতন্ত্রের 'শতফুল ফুটতে দাও' মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাঙালি জাতির '৭১-এর ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য ভেঙে টুকরো টুকরো হতে শুরু হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্তি রোধ করে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা গেলেও গণতন্ত্রের নামে বাঙালি জাতি বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।

আর্থিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা, শাসক-শাসিতের বন্ধন, আইনের শাসন, সহিষ্ণুতা, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের পরিবর্তে বাঙালি জাতি পরস্পর হিংসা-জিঘাংসা, সংঘাত-সহিংসতা, দলাদলি ও রক্তারক্তিতে মেতে উঠেছে। এ সংঘাত ক্রুসেডের নয়, দুই ধর্মাবলম্বীর মাঝেও নয়। শাসনক্ষমতার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের পারস্পরিক লড়াই! কল্পনাই করা যায় না, তারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করছে, নিজেদের মুসলমানিত্ব প্রমাণের জন্য প্রাণান্ত প্রয়াস চালাচ্ছে, কিন্তু তারা যা করে যাচ্ছে, সে বিষয়ে ইসলামের ন্যূনতম স্পিরিট ও অনুশাসনের দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না।

মুসলমানদের পারস্পরিক রক্তপাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি : ইসলামে কোনো মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার ব্যাপারে যত কঠিন সতর্ক বাণী এসেছে, অন্য কোনো গোনাহের ক্ষেত্রে তা আসেনি। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যে ব্যক্তি কোনো মুমিন মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে যে অনাদিকাল থাকবে। আল্লাহ তার ওপর ক্রোধান্বিত হবেন, তাকে অভিশাপ দেবেন। আর তিনি পরকালে তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রাখবেন- (সুরা নিসা : ৯২)। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া গোনাহের কাজ আর তাকে হত্যা করা কুফরি'- (বোখারি : ৬০৪৪)

রাসুল (সা.) আরো বলেন, 'যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলমানদের) ওপর অস্ত্র উঠাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়'- (বোখারি : ৬৮৭৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, 'আল্লাহর কাছে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোনো মুসলমানের হত্যার চেয়েও অধিক সহনীয়'- (নাসায়ী : ৩৯৯২)। অন্য হাদিসে এসেছে, 'যদি আসমান-জমিনের সব অধিবাসী কোনো মুসলমানকে হত্যার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে আল্লাহ তাদের সবাইকে বিনা হিসাবে শাস্তি প্রদান করবেন'। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ১২৩০১)

ইসলামের দৃষ্টিতে হরতাল : ১৭৮৬ সালে আমেরিকার ছাপাখানার শ্রমিকরা, ১৯২০ সালে জার্মানে রাজনৈতিক কারণে, ১৯২৬ সালে ব্রিটেনে কয়লা শ্রমিকরা দাবি আদায়ের জন্য স্ট্রাইকের কৌশল ব্যবহার করে। গান্ধীজির হাত ধরে উপমহাদেশেও তার প্রচলন ঘটে । 'হর' অর্থ প্রত্যেক, 'তাল' অর্থ তালা। অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা। প্রাথমিক যুগে প্রতিবাদকারীরা স্বেচ্ছায় দোকান-পাট, কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি বন্ধ রাখত। কোনো ন্যায্য বিষয়ে জনগণ স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব কিছু বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালে ইসলাম তার বিরোধিতা করে না। তবে কালক্রমে হরতালের পরিবর্তিত কালচার-সংস্কৃতি, রূপ ও চিত্রের আলোকে প্রচলিত হরতাল ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

প্রথমত, প্রচলিত হরতালের মাধ্যমে পৃথিবীতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমরা জমিনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না'- (বাকারা : ১১)।

দ্বিতীয়ত, প্রচলিত হরতাল ভয়তালে রূপ নিয়েছে। হরতালের আগের রাতে ও হরতালের দিন জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, 'কোনো মুসলমানের জন্য বৈধ নয় অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো'- (আবু দাউদ হা: ৫০০৪)।

তৃতীয়ত, প্রচলিত হরতালে মানুষ পোড়ানো হয়। অথচ ইসলাম বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু, কীট-পতঙ্গ ও হিংস্র পাণীকেও আগুনে দগ্ধ করতে নিষেধ করেছে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য আগুন দিয়ে কাউকে শাস্তি প্রদান করা অবৈধ'- (আবু দাউদ, হা: ২৬৭৫)।

চতুর্থত, এতে দেশ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়, বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) বলেছেন, 'তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান একে অন্যের জন্য হারাম'- (বোখারি : ১৬৫২)

পঞ্চমত, এতে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়। (হত্যা বিষয়ে উপরে বর্ণিত হয়েছে)।

ষষ্ঠত, প্রচলিত হরতালে একের বোঝা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। সরকারের বিরোধিতার ভাষা জনগণের ওপর প্রয়োগ করা হয়, অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'কেউ অন্যের বোঝা বহন করবে না'- (সুরা ফাতের : ১৮)

সপ্তমত, কোনো কোনো আলেম বিজাতিদের উদ্ভাবিত হওয়ায় হরতালকে অবৈধ বলেছেন। তবে অনেকেই সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে জানমাল, দেশ ও সমাজের কোনোরূপ ক্ষতি সাধন না করার শর্তে হরতালকে বৈধ বলেছেন।

অষ্টমত, প্রচলিত হরতালে মানুষের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। অথচ পবিত্র কোরআনের প্রথম কথা হলো 'ইক্রা' অর্থাৎ তুমি পড়ো। হাদিস শরিফে জ্ঞান অর্জনকে ফরজ ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নবমত, প্রচলিত হরতালে নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম-অবিচার করা হয়। অথচ ইসলামের নীতি হলো, 'তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না।' (সুরা বাকারা : ২৭৯)

দশমত, প্রচলিত হরতালে আগুনে পুড়িয়ে মানুষের অঙ্গহানি ও অঙ্গবিকৃত করা হয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১৯তম আয়াতে আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করা শয়তানের কাজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) কোনো প্রাণীর বিকৃতি সাধন করতে নিষেধ করেছেন। (বোখারি শরিফ, হা. ২৪৭৪)

যান চলাচল, অবরোধ ও ইসলাম : পৃথিবীকে কেন সমতল ভূমি করে সৃষ্টি করা হলো, আল্লাহ বলেন, 'তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বিছানা। আর তাতে তোমাদের জন্য পথ সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা গন্তব্যে পৌঁছতে পার'- (সুরা যুখরুফ : ১০)। কেবল পথই নয়, পথ চলাচলের যানবাহনকেও আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত বলে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ আরো বলেন, 'আর তিনি নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের জন্য যানবাহনে পরিণত করেছেন'- (সুরা যুখরুফ : ১২)। প্রাচীন যানবাহনসহ আধুনিক যানবাহনও আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। কেননা এগুলোতে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও ধাতব পদার্থ আল্লাহরই সৃষ্টি। তা ছাড়া জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকও আল্লাহরই দান। আল্লাহ বলেন, 'তোমাদের আরোহণের জন্য এবং শোভার জন্য তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি (অনাগত ভবিষ্যতে) এমন জিনিস (যানবাহন) সৃষ্টি করবেন, যা তোমরা জানো না'- (সুরা নাহল : ৮)

চলাচলের পথকে নিরাপদ রাখার জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'মুসলমান হওয়ার জন্য যেসব কাজ করতে হবে, তার ন্যূনতম হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা'- (মুসলিম হা: ৩৫)

অন্য হাদিসে এসেছে, 'তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থেকো... অগত্যা যদি বসতে হয়, চক্ষু অবনত রাখবে, (চলাফেরায় মানুষের) কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলবে'- (বোখারি, হা: ২১২১)

জাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। পবিত্র কোরআনে সুরা তাওবার ৬০ নম্বর আয়াতে জাকাত দেওয়ার নির্দিষ্ট আটটি খাতের কথা বলা আছে। তার মধ্যে সর্বশেষ প্রকার ওই ব্যক্তিকে জাকাত দেওয়া, যে মুসাফির ও পরিভ্রমণকারী সফরে থাকাকালে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অথচ নিজ এলাকায় সে বিত্তশালী! উদ্দেশ্য তার যাত্রাপথ মসৃণ করা।

নামাজ ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কোনো অবস্থায়ই নামাজ ছেড়ে দেওয়ার বিধান ইসলামে নেই। দাঁড়িয়ে পড়তে না পারলে বসে পড়বে। বসে পড়তে না পারলে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। শয্যারত অবস্থায় নামাজ পড়তে না পারলে ইশারা-ইঙ্গিতে নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে। পানি না পাওয়া গেলে তায়াম্মুম করতে বলা হয়েছে। পবিত্র বস্ত্র পাওয়া না গেলে অপবিত্র বস্ত্র দিয়ে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে। সতর ঢাকার মতো ন্যূনতম পোশাক পাওয়া না গেলে বিবস্ত্র হয়েই নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে। আর মানুষের যাত্রাপথকে অনুকূল ও ভ্রমণের কষ্টকে লাঘব করার জন্য ইসলাম তার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজকে সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করবে,... তখন সালাত (নামাজ) সংক্ষিপ্ত করলে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না।' (সুরা নিসা : ১০১) উপরের বিধানগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, কারো যাত্রাপথকে বাধাগ্রস্ত করা ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

প্রচলিত হরতাল-অবরোধ বিষয়ে কয়েকটি ফতোয়া : ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়াতে বলা হয়েছে, 'বর্তমান যুগে হরতাল-অবরোধ বিভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা হয়। কোনো কোনো হরতালে এমন হয়, তার মধ্যে হত্যা, লুটতরাজ, পাথর নিক্ষেপ, ভাঙ্চুর, চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করা হয়। এমন ভ্রান্ত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনো সভ্যসমাজের লোকজন সমর্থন করে না। স্পষ্টত, ইসলামও এ ধরনের কর্মসূচিকে সমর্থন করে না।' (ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া, খণ্ড : ২, পৃ. ৩৫৬)

ফতোয়ায়ে রাহমানিয়াতে বলা হয়েছে, 'বর্তমানে প্রচলিত হরতাল কর্মসূচিতে শরিয়তবিরোধী বহু কারণ বিদ্যমান থাকায় তা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম। তবে ওইসব কারণ থেকে মুক্ত থেকে কোনো দ্বীনী কিংবা ন্যায্য দাবির পক্ষে বা অন্যায়ের প্রতিবাদে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামত তৈরি করে হরতাল পালন করলে তা অবৈধ নয়'- (ফতোয়া নং ২৮৩৯)। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুফতি আল্লামা ত্বকি উসমানি (দা.বা.) লিখেছেন, 'সরকারের কোনো কাজের প্রতিবাদ করার জন্য যদি লোকজনের কাছে তাদের কায়কারবার বন্ধ রাখতে আবেদন করা হয়, তাদের ওপর কোনোরূপ বলপ্রয়োগ করা না হয়, তাহলে এ আবেদনে সাড়া দেওয়া ও তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইসলামবিরোধী নয়।

এমন হরতাল বৈধ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, হরতালকারীরা এতটুকুর ওপর সন্তুষ্ট থাকে না; বরং হরতালকারীদের পক্ষ থেকে মানুষের কায়কারবার বন্ধ করতে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করা হরতালের অত্যাবশ্যক অংশে পরিণত হয়েছে। যদি কেউ গাড়ি চালাতে থাকে, তাহলে তার ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। রাস্তায় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়... স্পষ্ট কথা যে এসব পদক্ষেপ শরিয়তের দৃষ্টিতে একেবারেই গর্হিত অপরাধ- হারাম'। (ইসলাম আওর সিয়াসি নজরিয়াত)

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বিষহ জনজীবনের কথা ভেবে একজন মুসলমান ভাইয়ের পক্ষ থেকে তার অগণিত ধর্মপ্রিয় ভাইবোনের কাছে দ্বীনি দাওয়াত হিসেবে উপরের কথাগুলো লেখা হলো। কোরআনের ভাষায় বলছি, 'স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।' (সুরা ইয়াসিন : ১৭)। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : হাফেজ মাওলানা আরিফুর রহমান , খতিব, স্টেশন জামে মসজিদ, ঝাউতলা, চট্টগ্রাম

 

আরপি/ এমএএইচ-১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top