নগরীতে বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকের ওপর হামলা

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে এ সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে।

নগরীর ভূবনমোহন পার্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা বিএনপি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে এ সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত ছয় সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন—বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আব্দুস সালাম, চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরাম্যান আক্তারুজ্জামান লেলিন, এসএ টিভির ক্যামেরাম্যান আবু সাঈদ, নিউজ ২৪ এর ক্যামেরাম্যান সামিউল বাপ্পী, দীপ্ত টিভির ক্যামেরাম্যান ইসলামুল হক এবং গাজী টিভির ক্যামেরাম্যান রবিউল ইসলাম খোকন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ চলাকালে সমাবেশস্থলে জায়গা দখলকে (বসা) কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদলের দুই গ্রপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যা এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়। সেই মারামারির দৃশ্য সংগ্রহের জন্য সংবাদকর্মীরা এগিয়ে গেলে যুবদল ও যুব মহিলা দলের বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে এই ৬ জন আহত হন।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না। বিএনপি একটি বৃহৎ দল। ভুলত্রুটি হতেই পারে। ছোট ভাইদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়ে ক্ষমাও চান তিনি।

এবিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তার উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্রী বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগরীর সদস্য সচিব মামুন অর রশিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও মহানগরীর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা।

 

 

আরপি/এসআর-১১

---