সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজশাহীতে জনসমাগম
১৩৫০ টাকায় জামানত নিয়ে চাকরী দেওয়ার নামে সিভিল ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল লি: কোম্পানির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা ১১ টা থেকে মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকার চাঁন এন্ড সন্স সুপার মার্কেটে অবস্থিত কোম্পানিটিকে ঘিরে রেখেছে ভুক্তভোগী কর্মীরা। এনিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কোম্পানীর কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতিরও ঘটনা ঘটেছে।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজশাহীতে জনসমাগম হয়েছে। এই জনসমাগম রুখতে ব্যর্থও হয়েছেন প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এদিকে পুলিশের সাথে বারবার ধাওয়া পালটা ধাওয়া করতে দেখা গেছে ভুক্তভোগীদের। তাদের দাবি তাদের টাকা ফেরত দিতে।
জানা গেছে, কোম্পানীটিতে ৮ ব্যাচে প্রায় দুই হাজার কর্মী রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২০০ জনকে। তাদের প্রত্যেকের থেকে প্রথমে ১৩শ পঞ্চাশ করে টাকা নেয় কোম্পানিটি। এছাড়া ট্রেনিং এর পরে নিয়োগ পত্র প্রদানের নামে আরো ১ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় জিনিসপত্র দেওয়ার নামে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানটির উপর।
সিভিল ওয়াচ ইন্টারন্যাশনালের দুইজন ভুক্তভোগি কর্মী বলেন, তাদের কাজ দেবেন বলে বিভিন্ন সময় টাকা গ্রহণ করে কোম্পানি। এছাড়া কোম্পানীর পক্ষ থেকে কোন কাজও দেওয়া হয়নি। উল্ট টাকাও ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদের দাবি তাদের টাকা ফেরত দিতে।
কোম্পানীর চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জেমস দাবি করেন, তারা ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এছাড়া তাদের সারা বাংলাদেশের যত কোম্পানী রয়েছে তাদের সঙ্গে মালামাল কেনার চুক্তি রয়েছে। যার ফলে তাদের কর্মীরা যেখান থেকেই মালামাল কিনবে অফিসে এসে ডিসকাউন্ট পাবে।তবে সিভিল ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী তাদের পূণ্যে কোন তালিকা বা গ্রহকের কাছে বিক্রি কোন তালিকো দেখাতে পারেনি।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরপি/ এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: