তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

জনগণের দুর্দশা বোঝেন বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে এবং জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমাতে গত ৫ আগস্ট সব ধরনের জ্বালানির দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনে বাড়ানো হয় লিটারে ৩৪ টাকা। অকটেনে ৪৬ এবং পেট্রোলে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর বিশ্ববাজারে কমতে থাকে জ্বালানির দাম। তখন থেকে সরকার বলে আসছিল, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও নতুন করে দর সমন্বয় করা হবে। গতকাল ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের দাম লিটারে কমানো হয়েছে ৫ টাকা করে।

জ্বালানি তেল কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, 'যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন?'

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, এই মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক। সময় হলে মূল্য বাড়িয়ে সমন্বয় করা হবে। জনগণের দুঃখ দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।'

এ সময় বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'গত সাত দশক ধরে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছে- কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।'

বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।'

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।'

বিএনপি আরেকটি ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্যের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।

জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান।

কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলেন অথচ এর সবকটি তাদের হাতে ভুলুন্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তাঁরা করছে।'

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, 'শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিকভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।'

বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোন অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।

আরপি/ এসএইচ ০৭

 

---