রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোজ্যতেলের ভ্যাট মওকুফ


প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৪৮

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৮

সংগৃহিত

ব্যবসায়ীদের দাবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা পৃথক আদেশে এ সংক্রান্ত এসআরও জারি করা হয়েছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ সুবিধা ছিল। পরে এই সময় আগামী অর্থবছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির (আগে এক ডলার সমান ৮৬ টাকার স্থলে বর্তমানে এক ডলার সমান ১০৫ টাকা) কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য আনুপাতিক হারে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

এর আগে ১৪ মার্চ ভোজ্যতেলে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল এনবিআর। ওই আদেশ অনুসারে, পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত ৩০ জুন ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট সুবিধার মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

গত মার্চে দেশের স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে দাম লিটারপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৯২ টাকা। সরকার ভোজ্যতেলের দাম ঠিক করে দেয়। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বেশিরভাগ সময়ই ক্রেতারা তেল কিনতে পারেননি বলে অভিযোগ আছে।

বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে দুই লাখ টন স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করা হয়।

আরপি/ এসএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top