একচেটিয়া ব্যবসায় কঠোর ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৈশ্বিক অস্থিরতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে দেশের বাজারে ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোন পর্যায়ে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
‘ব্যবসা-বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য ড. এ এফ এম মনজুর কাদির, সদস্য (আইন) নাসরিন বেগম, জি এম সালাউদ্দিন ছাড়াও রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর বিভাগের ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল ইসলাম, রংপুর উইম্যান চেম্বারে ভাইস প্রেসিডেন্ট বেগম আখতার জাহান (আর্শি), রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করে দেশের মানুষের জন্য পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে। একচেটিয়া ব্যবসা করার আর কোনো সুযোগ নেই। কমিশনকে বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে।
এ সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো পর্যায়ে অনিয়ম হলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর পৌরসভা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘রংপুরে বঙ্গবন্ধু’ নামক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। অনেকবার রংপুরে এসেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে রংপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকু মজুদার শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের ভাষণে রংপুরের নাম উচ্চারণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে ১৩ বছর জেলে ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীন অসাম্প্রদায়িক সুজলা সুফলা বাংলাদেশ।
টিপু মুনশি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছিল তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এখন দেশের মানুষের প্রশ্ন- যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে কে, গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে কে? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে এদের যোগসূত্র কোথায়?
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে হবে।
এ সময় বর্তমান সময়ে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে পীরগাছা উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে হুইল চেয়ার, বাই সাইকেল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। ওই সময় পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরপি/ এসএইচ ০৬
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: