রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর একটিতে বিদ্রোহী অপর দুটিতে আ’লীগের মেয়র নির্বাচিত


প্রকাশিত:
১৭ জানুয়ারী ২০২১ ০২:৪৫

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৪

ছবি প্রতিনিধি

রাজশাহীর তিনটি পৌরসভার একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও অপর দুটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

এর মধ্যে জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী। এর আগে মুক্তার আলী আওয়ামী লীগের হয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হলেও এবার দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। শনিবার ভোট গননা শেষে তিনি দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন।

এখানে আ’লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদকে (নৌকা) ১৬০৪ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী (নারিকেল গাছ)। মুক্তার আলী ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯০৪ । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ’লীয় মনোনীত শহীদুজ্জামান শহীদ নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ ভোট। এখানে ১ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোজাম্মেল হক ।

এদিকে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ীমী লীগের একেএম আতাউর রহমান খান। তিনি কাকনহাট পৌরসভার ১১টি ভোট কেন্দ্রে গণনা শেষে ৪৬৩ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের একেএম আতাউর রহমান খান নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৫ ভোট।

তার নিকটতম বিএনপির হাফিজুর রহমান হাফিজ ধানের শীষ প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ১২২ ভোট। এদিকে শনিবার দ্বিতীয় ধাপে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল মালেক মন্ডল তার নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ২৬৯৯ ভোট।

এই নির্বাচনে আব্দুল মালেক মন্ডল তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম মামুনুর রশিদ মামুনের চেয়ে ৪৬২০ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নারী পুরুষ মিলে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৪৪০৫ জন। নির্বাচনে সত্তর শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

এখানে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক তাকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, কর্মী সমর্থকদের মারপিটের অভিযোগ অভিযোগ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দেন। পরে তিনি নির্বাচন কার্যালয়ে এসে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন।

 

আরপি/এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top