অস্বস্তিতে চারঘাটের লেপ-তোষক কারিগররা

শীতের শুরুতেই মহাব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর চারঘাটের লেপ-তোষক কারিগররা। নেই দম ফেলার ফুরসত।
তবে তুলাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষকের দাম এখন চড়া। এর ওপর ভাসমান মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে বিপাকে স্থানীয় হাট-বাজারের স্থায়ী দোকানদাররা। এতে অস্বস্তিতে রয়েছেন তারা।
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কম দামে বিক্রি করে বাজার নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ তাদের।
শীতের পোশাকসহ লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। চাহিদা বাড়তি থাকায় বিক্রিও হচ্ছে ভালো।
ব্যবসায়ীরা জানান, লেপ-তোষকের ব্যবসায়ী ও কারিগরদের আগের তুলনায় এখন ব্যস্ততা কম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ঢুকে পড়েছেন এ অঞ্চলে। তারা প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই লেপ-তোষক নিয়ে গ্রামগঞ্জে বেরিয়ে পড়েন। মান খারাপ হলেও দাম কম হওয়ায় গ্রামের নারীরা এগুলোই কিনছেন তাদের কাছ থেকে। তাদেরকে নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে মানের তুলনায় বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, দোকান নিতে মালিককে জামানত বাবদ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এছাড়া প্রতিমাসে ঘরভাড়া দিতে হয় দুই থেকে চার হাজার টাকা। বেতন দিয়ে কারিগরও রাখতে হয়।
প্রতি বছরই শীতের অপেক্ষায় থাকেন তারা, কারণ শীতের সময়ে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তবে এবার ভাসমান ব্যবসায়ীদের কারণে পথে বসতে চলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকেই।
তারা বলেন, ধার-দেনা করে কোনোমতে টিকেছিলাম এতদিন। বেচাবিক্রি কম হওয়ায় আমাদের পথে বসতে হচ্ছে। আমরা এখানকার স্থানীয় এবং স্থায়ী ব্যবসায়ী হওয়ায় ক্রেতাদের নিম্নমানের তুলা বা কাপড় দিয়ে লেপ-তোষক বানিয়ে দিতে পারি না। ভালো কাপড় ও তুলার দাম বেশি হওয়ায় আমাদের লেপ-তোষকের দাম ও মান উভয়ই বেশি হয়।
কিন্তু ভাসমান ব্যবসায়ীরা পোশাক কারখানার ঝুটের তুলা এবং নিম্নমানের কাপড় দিয়ে এই লেপ-তোষক বানিয়ে বিক্রি করছেন। কিছুদিনের মধ্যেই এগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ক্রেতারা ঠিকই দোকানিদের কাছে ফিরে আসবেন।
এসব কারণে বর্তমান অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
আরপি/এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: