রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাটে চেয়ারম্যানের অবহেলায় পিচঢালা রাস্তা কেটে পানি নিষ্কাশন


প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০২০ ০৩:০৭

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩৩

 পিচঢালা রাস্তা কেটে বিপাকে স্থানীয়রা। ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহীর চারঘাটে পানি নিষ্কাশনের জন্য পিচঢালা রাস্তা কেটে বিপাকে পড়েছে ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। পানির স্রোতের চাপে রাস্তাটির প্রায় ১৫ ফুট ভেঙে গিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। আর এ অবস্থার জন্য ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অবহেলাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের মোহননগর ও লক্ষীপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন, সাইদুল ইসলাম, শিমুল আলীসহ একাধিক গ্রামবাসী জানায়, বছরের পর বছর ধরে তাদের এলাকার মৌসুমি বৃষ্টির পানি চৌমুহনী বাজারের দক্ষিণ পাশের সাঁকো দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু গত বছর মাছ চাষের জন্য সেই সাঁকোর মুখ বন্ধ করে পুকুর সংস্কার করেছেন হ্যাপি, বুলবুল, নজরুল নামের তিনজন প্রভাবশালী। ঐ পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন মিনারুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি।

সাঁকোর মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পর গত বছর সামান্য বৃষ্টিতেই ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গ্রামবাসী এ ব্যাপারে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ নাজমুল হকের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক সাঁকোর মুখ পরিস্কার করে জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য ভায়ালক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুলকে নির্দেশ প্রদান করেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, গত বছর ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তারা একাধিকবার এ বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করেন, কিন্তু চেয়ারম্যান কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। বরং সাঁকোর মুখ বন্ধ করে পুকুর খননকারীরা চেয়ারম্যানের দূর সম্পর্কের আত্নীয় হবার কারনে তাদেরকেই আরো সহযোগিতা করেছেন।

গত কিছুদিনের বৃষ্টিতে এ বছর পুনরায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি বন্দি হয়ে পড়ে মোহননগর ও লক্ষীপুর গ্রামের প্রায় ১শ টি পরিবার। এবছরও গ্রামবাসী স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে সমস্যার কথা জানায়। কিন্তু চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও আসেনি।

পরবর্তীতে গত সোমবার রাতের অন্ধকারে কে বা কারা বুদিরহাট থেকে চৌমুহনীর পিচঢ়ালা সড়কের এক জায়গায় কেটে পানি নিষ্কশনের ব্যবস্থা করে। তাতে পানির স্রোতে রাস্তার প্রায় ১৫ ফিট জায়গা ভেঙে চলে যায়। হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তাটি অকেজো হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় নতুন দূর্ভোগের। আর এ সবকিছুর জন্য স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুলের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।

সাঁকোর মুখ বন্ধ করে মাছ চাষের ব্যাপারে জানতে চাইলে মিনারুল ইসলাম বলেন, আমি পুকুরটি মাছসহ ইজারা নিয়েছি ফরিদপুর মোড়ের সাবলুর কাছে থেকে। আমি ইজারা নেবার আগে সাবলু ও জমির মালিক নজরুল ও বুলবুল সবাই মিলে পুকুরটি সংস্কার করেছে। তখন তারা সাঁকোর মুখটি বন্ধ করেছে। আমি সাঁকোর দায়ভার নেবো না।

অবহেলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ভায়ালক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল বলেন, আমি কোনো অবহেলা করিনি। কেউ তার ব্যাক্তি মালিকাধীন জমিতে পুকুর খনন করে সাঁকোর মুখ বন্ধ করলে আমার কিছুই করার নেই।

 

আরপি/আআ-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top