রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

মোহনপুরে এনজিও’র ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত, চলছে অফিস


প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২০ ২২:১২

আপডেট:
১৮ জুন ২০২০ ২২:১২

ছবি: আত-তিজারা

রাজশাহীর মোহনপুরে বেসসরকারি এনজিও আত-তিজারা রাজশাহী লিমিটেড ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মুস্তাক (৩৮) গত ১৫ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে আছেন। ম্যনেজার করোনা আক্রান্ত হলেও সরকারী নিষেধঞ্জা অমান্য করে নিয়মিত চলছে ঋন আদায় কার্যক্রম। যেখানে ৩০ জুন পর্যন্ত ঋন আদায় কার্যক্রম স্থগিত করেছে সরকার। এমনই অভিযোগ উঠেছে আত-তিজারা রাজশাহী লিমিটেড এনজিও-বিরুদ্ধে।

করোনা আক্রান্ত ম্যানেজার মুস্তাকের বাড়ী বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার সাবের আলীর ছেলে। গত ৭ জুন অফিস চলাকালীন সময়ে মুস্তাক করোনা উপসর্গে ভুগছেন এ বিষয়ে তিনি আত-তিজারা নির্বাহী পরিচালক ও তত্বাবধায়ক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমকে জানান।

তিনি তাকে ছুটি দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। এ সময় মোহনপুর ব্রাঞ্চ অফিসে পরিচালক,ম্যানেজারসহ ৪ জন ছিলেন উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজারকে ছুটি দিলেও ম্যানেজারের সাথে পরিচালক ও অন্যান্য স্টাফরা মিশেছে। যেখানে তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা তা না থেকে তারা নিয়মিত অফিস পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আত-তিজারা রাজশাহী লিমিটেড এনজিও নির্বাহী পরিচালক ও তত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে।

এ দিকে ছুটিতে গিয়ে ম্যানেজার মুস্তাকের জ্বর সর্দি মাথাব্যাথা ও অন্যান্য উপসর্গ বাড়তে থাকলে গত ১১ জুন তিনি মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নমুনা দিয়ে বাড়ীতে যান। এরপর ১৫ জুন তার নমুনা পরীক্ষায় তার দেহে করোনা সনাক্ত হয়।

কোন প্রতিষ্ঠান বা বাড়ীতে যদি কেহ করোনা সনাক্ত হয় তাহলে প্রশাসন সেই অফিস কিংবা বাড়ী লক ডাউনসহ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে । সেই হিসেবে আত-তিজারা রাজশাহী লিমিটেড অফিসটিও লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন। অফিস লকডাউন হওয়ার পরেও নির্বাহী পরিচালক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম তার ২ জন কর্মচারীকে নিয়ে নিয়মিত অফিস পরিচালনাসহ ঋণ আদায় ও পন্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

গতকাল ১৭জুন বুধবার নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম তার কর্মীদের ফিল্ডে পাঠিয়ে আদায় করা ঋনের টাকা জমা দেওয়ার জন্য মোহনপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় পাঠালে ব্যাংকের গ্রাহকরা আত-তিজারা রাজশাহী লিমিটেড এনজিও টাকা জমার কথা শুনে আপত্তি বিপত্তি জানালে টাকাগুলি জমা না নিয়ে আত-তিজারার লোককে ফেরত পাঠায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক মোহনপুর শাখার গ্রাহক হুমায়ন কবির বলেন, আত-তিজারা এনজিওর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে নির্বাহী পরিচালকসহ অন্যান্যরা অফিস খুলে তাদের ঋন আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যেখানে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা দরকার সেখানে তারা নিয়মিত সরকারী নিষেধঞ্জা শর্তেও গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত মিশছেন ও তাদের ঋন আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের অসচেতনতার কারণে মোহনপুর উপজেলায় ভয়াবহরুপ নিতে পারে করোনা। তারা বর্তমানে করোনা ফেরি করছেন।

এ বিষয়ে আত-তিজারা নির্বাহী পরিচালক ও তত্বাবধায়ক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার অফিসের লোক টাকা জমা দিতে ব্যাংকে গিয়েছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একবার টাকা জমা নিয়েছে এবং দ্বিতীয়বার টাকা জমা না নিয়ে ফেরত দিয়েছে। ইউএনও স্যার অফিস বন্ধ করতে বলায় অফিস বন্ধ করে আমি বাসায় চলে এসেছি।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন বলেন, আত-তিজারা এনজিওর বিষয়টি আমি শুনেছি। অফিসটি লক ডাউন করা হয়েছে এরপরেও তারা সরকারি নিষেধঞ্জা অমান্য করে তাদের ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আরপি/আআ-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top