রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

চিত্রকর্ম বিক্রি করে দুস্থদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৪১

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৪১

 

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কাজ করতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষের। ঘরবন্দি হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরেই। ফলে ক্ষুধা নির্মূলে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তাই নিজেদের আঁকা শিল্পকর্ম বিক্রি ও ছবি এঁকে অর্জিত অর্থে গরীব, অসহায় এবং কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলার শিক্ষার্থীরা।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'ক্ষুধা নির্মূলে আঁকছি' নামে পেজ ও গ্রুপ খুলে বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন তারা। শুরু থেকে শিল্পকর্ম কেনা এবং ছবি এঁকে নেয়া মানুষের সাড়া মিলছে ব্যাপকভাবে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্রশিল্পীরাও স্বেচ্ছায় ছবি আঁকার দলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান তারা।


এ বিষয়ে রাবির চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক ইমরান বলেন, শুরুতে আমরা অল্প কয়েকজন মিলে এ উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যোগদানকারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া ছবি এঁকে নেয়ার জন্য গ্রাহকদেরও বেশ সাড়া পাচ্ছি। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ফলে মাত্র তিনদিনে ফান্ডে প্রায় ১৫ হাজার টাকা জমা করতে পেরেছি।


তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে তাদের আঁকা শ্রেষ্ঠ কিছু চিত্রকর্ম বিক্রি করবেন। সেগুলোর ছবি তুলে মূল্যসহ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাটাগরির চিত্রকর্ম আঁকবেন তারা। বিনিময়ে যে টাকা পাবেন তা দিয়েই অনাহারী মানুষের খাদ্য জোগাবেন। মানবিকতার জায়গা থেকেই চিত্রশিল্পীরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উদ্যোক্তারা জানান, মূলত তারা ডিজিটাল অর্থাৎ পোট্রেট/ক্যারিকেচার (২০০-৫০০ টাকা), পেন্সিল স্কেচ, কালি-তুলি, পেন স্কেচ, ওয়াটার কালার, এক্রেলিক কালার, ওয়েল কালার (৫০০-২০০০ টাকা), বিভিন্ন ধরনের পেন্ডেন্ট, শাড়ি পেইন্টিং, গ্লাস পেইন্টিং, প্রিন্ট এবং ক্রাফট-এর কাজ করছেন।
শিল্পকর্ম কিনতে বা ছবি আঁকার অর্ডার করতে ০১৭৬২-৩৩৩৫৪০ (আতিক ইমরান) ও ০১৭৬৭-৬৮২৭৪৭ (রাহুল দেবনাথ) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। আর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন- ০১৭৬২-৩৩৩৫৪০ (বিকাশ), ০১৭৬৭-৬৮২৭৪৭ (রকেট) এই নম্বরে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম একজন রাহুল দেবনাথ।


তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা চিত্রকর্মগুলোর সফট কপি দিব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছবিটি আমরাই নিজ দায়িত্বে স্ব-স্ব ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেব।
দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর বিষয়ে আতিক ইমরান বলেন, আমরা প্রথমে ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের সাহায্য করব। আর ফান্ড বড় হলে গ্রুপে যারা যারা কাজ করেন, প্রত্যেকে যে যেখানে আছে তার আশপাশে খোঁজ নিয়ে দরিদ্র-অসহায় প্রতিবেশীদের খাদ্যসামগ্রী দেয়া হবে।

আরপি/ এআর

 

সূত্র: যুগান্তর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top