রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় নানামূখি সংকটে রাজশাহীর পত্রিকা, প্রকাশনা বন্ধের উপক্রম


প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৬:১০

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৬:০৩

প্রতীকি ছবি


নানামূখী সংকটের কারনে বন্ধ হতে পারে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত স্থানীয় পত্রিকাগুলো। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তৈরী সংকট, বিজ্ঞাপন না থাকা, প্রকাশকের আর্থিক ক্ষতি, সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি, পত্রিকার সার্কুলেশন না হওয়া ও হকারদের পত্রিকা বিতরণে অপারগতা প্রকাশ-সহ বিভিন্ন কারনে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করা হতে পারে। সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধ ও আক্রমণ থেকে বাঁচতে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পোষাক (পিপিই) ও অন্যান্য উপকরণ নেই। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। অনেকেই যৌক্তিকভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

এর বাইরেও অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাপার উপকরণ সংকট। পত্রিকার প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ, যেমন- কাগজ, প্লেট, কালির সংকট ইত্যাদির সংকট তৈরী হয়েছে বাজারে। প্রয়োজনীয় ও ভালো মানের উপকরণ মিলছে না ঠিকঠাক। সাধারণ এসব উপকরণ ঢাকা থেকে এসে থাকে। তবে পরিবহন সংকটের কারণে রাজশাহীতে আসছে না। স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সংকট আরো ঘনিভূত হচ্ছে।

এছাড়াও লকডাউনের কারনে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ প্রায় সব ধরণের প্রতিষ্ঠান। এতে পত্রিকার আয়ের প্রধান উৎস বিজ্ঞাপন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আর্থিক সংকটে পড়েছে পত্রিকাগুলো। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন প্রকাশকরা।

পত্রিকা প্রকাশের পরে তা পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয় হকার। গণমাধ্যমের সঙ্গে মানুষের সংযোগ তৈরী করে হকাররা। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই হকাররাও পত্রিকার সার্কুলেশন বা বিতরণে অপারগতা প্রকাশ করেছেন চলমান করোনা সংকটের কারণে। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। ফলে এসকল কারনে বন্ধ করা হতে পারে পত্রিকা প্রকাশ।

রাজশাহীর শীর্ষস্থানীয় দৈনিক সানশাইনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. ইউনুস আলী বলেন, করোনায় লকডাউনের ফলে পত্রিকা প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় পাচ্ছি না বিজ্ঞাপন। আমরা আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে পত্রিকা প্রকাশ করতে চাইলেও হকাররা তা বিতরণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা তুলছেন সাংবাদিকরা। তাহলে আমরা কি করতে পারি? উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পত্রিকা প্রকাশ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। হয়তো পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হতে পারে।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top