রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আমূল পরিবর্তনের কারিগর ডাঃ আসাদুজ্জামান


প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২০ ২৩:০৮

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪৯

দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবর্তনের কারিগর ডাঃ আসাদুজ্জামান

রাজশাহী দূর্গাপুরে স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন। কিছুকাল আগেও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পা ফেলতেই নাকে এসে লাগতো দুর্গন্ধ। হাসপাতাল থাকত অপরিস্কার, নোংরা। বাথরুম-টয়লেট ছিল ব্যবহারের অনুপযোগী। স্যালাইনসহ অধিকাংশ ঔষধপত্র রোগীদেরকে কিনতে হত বাইরে থেকে। অপারেশনের আগে রোগীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হত লম্বা তালিকা। দালাল, সিন্ডিকেট, স্পেশাল আয়ার যন্ত্রনায় রোগীরা ছিল অতিষ্ট। কিন্তু এখন চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।


গত ৪ মাসে হাসপাতালে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখন হাসপাতালে ঢুকতে নাকে রুমাল দেওয়া লাগে না। ওয়ার্ড, বাথরুম টয়লেট থাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। হাসপাতালে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মোছামুছির কাজ করছে। বাথরুম, টয়লেটে লাগানো হয়েছে নতুন টাইল¯।

সেগুলো এখন চকচকে ঝকঝকে। হাসপাতালের সামনে অবৈধ মাইক্রো স্টেশন ও তিনি উচ্ছেদ করেছেন। হাসপাতালে এখন বিভিন্ন ধরনের স্যালাইনসহ দামী দামী ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে।


প্রায় সব ঔষধ ভর্তিকৃত রোগীদেরকে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। অপারেশনের আগে এখন আর রোগীদেরকে ধরিয়ে দেওয়া হয় না লম্বা তালিকা। কমেছে দালাল, সিন্ডিকেট, স্পেশাল আয়াদের অত্যাচার।

দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি রেগী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমি এজমা রুগী ৮ মাস আগেও আমি ভর্তি ছিলাম খাওয়াদাওয়া ও ঔষধ নিয়ে বেশ কষ্টে ছিলাম। কিন্তু এবার সবকিছু পরিবর্তন লাগছে আমার কাছে। সবসময় ডাক্তার ও নার্সদের তদারকি, তিনবেলা নিয়মিত খাবার।


তিনি জানান,সকালে পাউরুটি কলা ও ডিম দেয়, দুপুরে আমিষ সবজী ভাত। রাতেও ভাত ও আমিষ। ঔষধ পাচ্ছি খাবারের মানও যথেষ্ট ভাল। অন্য কোন সরকারী হাসপাতালে দেওয়া হয় না।

হ্যাঁ পরিবর্তনের এসব খন্ড খন্ড চিত্রের কথা বলছিলাম দুর্গাপুর উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (৫০) আর এসব কিছু পরিবর্তনের মূলে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন হাসপাতালের পরিচালক দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্স এর পঃপঃ কর্মকতা টিএস ডাঃ আসাদুজ্জামান। যোগদান করেন ২০১৯ আক্টবর মাসের ৩০ তারিখের পর থেকেই এই পরিবর্তন শুরু হয়।


বর্তমান পরিচালকের সুদক্ষ নেতৃত্বে সমস্ত সংগঠন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যার যার অবস্থান থেকে রোগী সেবায় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাঁর কড়া নজরদারি, কঠোর তদারকির ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরে এসেছে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরেছে সরকারি হাসপাতালের প্রতি অস্থা। দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর রুগী আসছে মেডিকেল এ।


এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল হাসপাতালের পরিচালক টিএস ডাঃ আসাদুজ্জামান এর সাথে তিনি সংবাদ কর্মীদের কে – জানান, মন্ত্রণালয়ের দেয়া সীমিত বাজেটের স˜ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

আরপি/ এআর

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top