বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
ছাত্রশিবিরকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার আহবান
ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক সদস্য ও কর্মীকে সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, যিনি যেই স্তরে আছেন, তার একাডেমিক ফলাফল অবশ্যই ভালো হতে হবে। যারা একাডেমিকভাবে ভালো ফল করতে পারবে না, তাদের ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা উচিত। ছাত্রশিবিরকে তার ক্যাম্পাসে, শ্রেণীকক্ষে এবং শিক্ষকদের কাছে সবচেয়ে ভালো হতে হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর শিবিরের সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকলকে তার ক্যাম্পাসে, শ্রেণীকক্ষে এবং শিক্ষকদের কাছে সবচেয়ে ভালো হতে হবে। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ট্যাগিং-এর রাজনীতি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। কথায় কথায় রাজাকার বলে আক্রমণ! তার বাবা জন্মগ্রহণ করেননি ১৯৭১ সালে, তবু সন্তানকে রাজাকার বলে দোষারোপ করা হয়। কথা বললেই শিবির! কেউ নামাজ পড়লে শিবির, দাঁড়ি রাখলে শিবির, টাখনুর উপর প্যান্ট পড়লে শিবির! মাদকের সাথে যুক্ত না থাকলে শিবির! রাষ্ট্রের এমন নির্মমতা কতটা সহ্য করা যায়? বিশ্বজিৎ এবং আবরার হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, একবার হরতালের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিশ্বজিৎ নামের একজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল, মিডিয়ার সামনে। তাদের অভিযোগ ছিল বিশ্বজিৎ শিবিরের হিন্দু শাখার সদস্য। কতটা হাস্যকর! আবরার ফাহাদ পানি সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলেছিল, তাকে শিবির আখ্যায়িত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এটি শুধু একটি ঘটনা নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে এমন হাজারো ঘটনা লুকায়িত আছে।
তিনি আরও বলেন, এই ট্যাগিং-এর রাজনীতি গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা দাবি জানাই, আগামী দিনে এ ধরনের ট্যাগিং-এর রাজনীতি চলবে না। আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। যদি কেউ আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চায়, তবে আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, আদর্শের মাধ্যমে মোকাবেলা করুন। আদর্শকে ট্যাগিং বা মিথ্যাচারের মাধ্যমে মোকাবেলা করার চেষ্টা করবেন না। কারণ, আমরা যে আদর্শকে ধারণ করি তা আল্লাহ প্রদত্ত। যদি আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করেন, আমরা আপনাকে স্বাগত জানাই। তবে মিথ্যাচার বা ট্যাগিং-এর মাধ্যমে যারা মোকাবেলা করতে আসবে, ভবিষ্যতে তাদের ফ্যাসিজমের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক সিদ্দিক আহমেদ, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. কেরামত আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, মহানগর শিবিরের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন, গোলাম মর্তুজা, তৌহিদুর রহমান সুইট, জসিম উদ্দিন সরকার, হাফেজ খাইরুল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন প্রমুখ।
আরপি/জেডএফ
বিষয়: ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম ট্যাগিং-এর রাজনীতি বিশ্বজিৎ এবং আবরার হত্যাকাণ্ড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: