রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২২ ০৪:০২

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১১:৩৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগে প্রজেক্টের সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর না করায় সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে টেবিল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগমের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।

অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হক।

জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাকিমুল হক তার সহকর্মী। তিনি আজ সকালে তার একটি প্রজেক্টের সুপারিশের জন্য একজন কর্মচারী দিয়ে পাঠান। তিনি ওই শিক্ষককে স্বাক্ষরের জন্য আসতে বলেন। পরে তিনি আসলে তিনি তাকে তার সঙ্গে আগের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন। এটি না করলে তিনি সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এর কয়েক দিন আগে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন। স্বাক্ষর না করাতে তিনি টেবিল চাপড়িয়ে ভেঙে বাইরে চলে আসেন। যাওয়ার সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাঠি দিয়ে পেটানোর হুমকি দিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আছে, সেই কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তার অভিযোগ, তিনি স্বাক্ষর না দিলে নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, টেবিল চাপড়িয়ে ভাঙতে পারেন না।

অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হাকিমুল হক বলেন, তিনি সোমবার রাতভর একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করেছেন। এটি আজই তার জমা দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য প্রজেক্টে সভাপতির সুপারিশ স্বাক্ষর প্রয়োজন। তিনি একজন কর্মচারী দিয়ে ফাইলটি পাঠান। কিন্তু সভাপতি তাকে আসতে বলেন। পরে তিনি গেলে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ সময় কথা কাটাকাটি হয়। পরে তিনি টেবিল চাপড়িয়ে কথা বলার সময় দুর্ঘটনাবশত টেবিলের কাচটি ভেঙে যায়। এটা অনিচ্ছাকৃত।

তিনি আরও বলেন, উনি এর আগেও আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। বিভাগের সভাপতির কাজ স্বাক্ষর করা। এটা তার রুটিন কাজ। কিন্তু তিনি তা না করে আগের অনেকগুলো ঘটনাকে সামনে এনেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। তবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও সেটা আমার কাছে এখনো পৌঁছায়নি। তবে অভিযোগপত্র হাতে পেলে বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখব।

আরপি/ এসএইচ 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top