রাজশাহী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণে মেধাবি বিদ্যুতের পাশে মঞ্জু হাসপাতাল


প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৫৯

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ০১:১৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া বিদ্যুৎ কুমার দাসের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাঘা বেসরকারি মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মিঠন কুমার। চলতি ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যুৎ কুমার দাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ তম স্থান অর্জন করে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

বিদ্যুৎ কুমার দাস রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আড়ানী পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বাবা আনন্দ কুমার দাস ও মা ভাদুরী কুমারী দাস। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ছোট। ছয় সদস্যের সংসার চলে আনন্দ কুমার দাস ও বড় ছেলে পরিমলের আয়ে। অভাবের কারণে বড় ভাই ও বোন সিতাকে পড়ালেখা করাতে পারেনি। বাড়ির ভিটার জমিই সম্বল।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী বিদ্যুৎ কুমার দাসকে তার নিজস্ব হাসপাতালের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নগদ ৮ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। পাশাপাশি তার পার্ট টাইম একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

সহযোগিতার সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক লালন উদ্দিন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু পােেন্ড, আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান নাইম বিদ্যুৎ কুমার দাসের বড় ভাই পরিমল দাস প্রমুখ ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, আর্থিক অনটনের মধ্যেও নিজের ইচ্ছা শক্তি আর সবার আশির্বাদে এ পর্যায়ে পোঁছাতে পেরেছি। কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করা কষ্টকর হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর বাঘা মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিঠন কুমার আমাকে ভর্তির টাকা দিয়ে সহযোগিতা করায় আমি অত্যন্ত খুশি এবং কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মিঠুন কুমার বলেন, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এমন একটা কাজে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ভাল লাগছে। তিনি বলেন,দরিদ্র পরিবার থেকে আমার বেড়ে উঠা। অর্থের কষ্টটা ভাগাভাগি করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। সমাজের বৃত্তবানরা এধরনের কাজে এগিয়ে আসলে সমাজে আর সমস্যা থাকতো না বলে জানান ।

বিদ্যুতের বাবা আনন্দ কুমার দাস বলেন, আমি আড়ানী পৌর বাজারে মিতা টেলিকম দোকানের সামনে ফুটপাতে জুতা-স্যান্ডেলের সেলাইয়ের কাজ করি। আমি ঋষি সম্প্রদায়ের লোক প্রতিদিন জুতা-স্যান্ডেলের সেলাইয়ের কাজ করে ২০০-৩০০ টাকা আয় হয়। বড় ছেলে সেলুনে কাজ করে। তার আয় আমার মতোই। এই আয় দিকে কষ্ট করে সংসার চালায়। কিন্তু ছোট ছেলে বিদ্যুতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। অবশেষে পাশে দাঁড়িয়েছেন মুঞ্জু হাসপাতাল।

আরপি/এসএডি-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top