রাজশাহীতে ট্রাফিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক
রাজশাহীতে ট্রাফিক সার্জেন্টের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় আসিফ আলী (২৮) নামে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর কোর্ট এলাকার হরগ্রাম বাজারে চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবক রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার আসাদ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, নগরীর কোর্ট এলাকার হরগ্রাম বাজারে চেকপোস্টে কাগজ দেখাতে না পারায় মামলা দেওয়ায় ক্ষোভে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন আসিফ আলী নামে ওই যুবক। এতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাউন্সিলিংয়ের জন্য তাকে ট্রাফিক অফিসে আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সার্জেন্ট কাইয়ুম রহমান মামলা দিতে গেলে মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তার নিজের গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তাকে পুলিশ নিয়ে যায়।
ওই সময় কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মৌসুমী আক্তার।
তিনি জানান, একে তো মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী। তার ওপর তাদের কারোরই হেলমেট ছিল না। সঙ্গে মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও ছিল না। চেকপোস্টে মোটরসাইকেলটি আটকে মামলা দিতে চেয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এক পর্যায়ে তাকে কাগজপত্র এনে দেখানোর শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ না নিয়ে নিজেই মোটরসাইকেলে আগুন দেন বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলটি নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের আওতাধীন। আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় রাজপাড়া থানা পুলিশ।
মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা জানান, ঘটনার পর তারা আশিক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এটা নিছক পাগলামী। মোটরসাইকেলটি তার নিজের সম্পদ হলেও তিনি পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিতে পারেন না। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এ নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তার বাবা আসাদ আলী জানান, সম্প্রতি একটি ব্যবসায় মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির শিকার হন আশিক আলী। এ নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এরই মাঝে ট্রাফিক পুলিশ কাগজপত্র না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে চেয়েছিলেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান।
রাজশাহী মহানগর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার অনির্বাণ চাকমা বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ওই যুবক গাড়ির কোনো কাগজপত্র না নিয়ে ওই মোড়ে যায়। এ সময় সেই রুটের দায়িত্বরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট কাইয়ুম রহমান। গাড়ির কাগজ চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ট্রাফিকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি তার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরপি/ এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: