সকল শিশুর চেতনায় বিকশিত হোক স্বাধীনতা
একটি স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও সার্বভৌম দেশের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নতুন একটি দিগন্তের সূচনা করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে শেষ করে দিতে বর্বর হত্যাকাণ্ডে মেতে ওঠে।
২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে। এর আগেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। রক্তের বিনিময়ে কেনা এই স্বাধীনতার চেতনা আগামী প্রজন্ম তথা সকল শিশুর মাঝে বিকাশিত করতে হবে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার মুরারীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অতিথিরা।
দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে মুরারীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- স্বাধীনতা দিবসের উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা। এর আগে সকাল ৯টার দিকে শহীদদের স্বরণে বিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনসহ এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এই আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুস সাত্তার। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিরাবুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ৩ নং দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিজুল হক তোতা, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল ইসলাম, যুব লীগ নেতা শাহীন বাদশা, সমাজসেবক আব্দুল গফুর, আশরাফ আলী, এনসার আলী, আব্দুল মান্নান, মাইন উদ্দিন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নাজমুল করিম, পিটিএ সভাপতি মুক্তার আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজনীন নাহার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক এলিজা পারভীন। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
আরপি/এসআর-০৮
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: