রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

ইন্সপেক্টর পরিচয়ে রাজশাহীর পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা, অবশেষে...


প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২১ ২৩:০৯

আপডেট:
১ আগস্ট ২০২১ ১১:৪৪

গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক আল আমিন

পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সংস্থাপন শাখার ইন্সপেক্টর পরিচয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় আল আমিন (৩৭) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহীর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রায় ২০ দিনের প্রচেষ্টায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তার প্রতারণার নানারকম তথ্য। শনিবার (৩১ জুলাই) ওই প্রতারককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার চাদপুর এলাকার আপেল মাহমুদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ২০১৫ সাল থেকে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আল আমিন। সে নিজেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর পরিচয়ে ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ইউনিটের অসংখ্য পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মূলত সে মুঠোফোনে কল করে পুলিশ সদস্যদের বদলী ঠেকানোর ভূয়া কথা বলে টাকা আদায় করত।

পুলিশ আরো জানায়, সর্বশেষ সে রাজশাহী জেলা পুলিশের এক সদস্যকে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ইন্সপেক্টর সালাম পরিচয়ে ফোন করে বলে, ‘আপনার নাম পার্বত্য জেলার জন্য নমিনেশন দেয়া হয়েছে। ঠেকাতে চাইলে যোগাযোগ করেন।’ পরে ওই পুলিশ সদস্য বিষয়টি জেলা পুলিশের আরওআই নিরঞ্জন ঘোষকে জানালে তিনি ঘটনাটি পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনকে অবগত করেন। পরে এসপি বিষয়টি উদঘাটনের জন্য রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তীকে নির্দেশ দেন। এরপরই কাজ শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ এবং ২০ দিনের প্রচেষ্টায় শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. ইফতেখায়ের আলম রাজশাহী পোস্টকে বলেন, প্রতারক আল আমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সে এভাবে প্রতারণা করেই চলত। তার কাছ থেকে বিভিন্ন নামে নিবন্ধন করা বিকাশ এবং নগদের কয়েকটি সিম পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জেলার মোহনপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top