রাজশাহীতে করোনার সনদ বিক্রি চক্রের তিনজন গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কভিড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার রাতে এক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃতদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে ভুয়া কভিড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বিক্রি চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি) আরেফিন জুয়েল।
তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভুয়া কভিড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে হেতেমখাঁ কলাবাগান এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জালিয়াত চক্রের মূলহোতা তারেক আহসান (৪১), তার দুই সহযোগী রফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী মামসুন্নাহার শিখা (৩৮)।
পুলিশ জানায়, তিন থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকুরীজীবী ও বিদেশগামীদের কাছে কভিড পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরী করে বিক্রি করা হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তারা এই জালিয়াতি চক্র গড়ে তোলেন।
ডিবি ডিসি আরেফিন জুয়েল বলেন, তারেক আহসান ও তার সহযোগী রফিকুল ইসলাম কভিড নমুনা পরীক্ষা করা মানুষগুলোর তালিকা সংগ্রহ করতেন। এরপরে টাকার দেন-দরবার করতেন রাকিবের স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা। তিনি কভিড নমুনা দেওয়া মানুষগুলোকে ফোন করে বলতেন, ‘আপনার করোনার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। টাকা দিলে নেগেটিভ করে দেওয়া হবে।’ এ নিয়ে বিভিন্নজনের সাথে টাকার বিষয়টি মেলাতেন তিনি। পরে টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিতেন তিনি।
জানা গেছে, যে সকল বিদেশগামী মানুষ করোনার নমুনা দিতেন, তাদের মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় হাতে থাকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার। তাই বেশি চাপে থাকতেন তারা। এই সুযোগটি কাজে লাগাতো এই চক্র। চক্রটি গত চার মাস থেকে এই প্রতারণা চালিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন বিদেশগামী মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি ডিসি আরেফিন জুয়েল আরও জানান, এই কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা তিন থেকে চারজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরপি/ এস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: