রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে ১৪ দিন লকডাউন দিলে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে: রামেকহা পরিচালক


প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২১ ১৬:১৩

আপডেট:
১৪ জুন ২০২১ ১৬:১৩

ছবি: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী

রাজশাহীতে ১৪ দিন লকডাউন দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

করোনার সংক্রমণ রোধে রাজশাহী মহানগরে চলছে কঠোর লকডাউন। সাত দিনের এ লকডাউনের তৃতীয় দিনে রোববার মহানগরীতে রাস্তায় মানুষের চলাচল বেশি দেখা গেছে। তবে লকডাউন বাস্তবায়নে মহানগরজুড়ে বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

লকডাউনের কারণে মহানগরীর বিপণিবিতান ও অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মহানগরীর প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে বেশি। পশ্চিম দিক থেকে মহানগরীতে প্রবেশের প্রধান পয়েন্ট কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের বাড়তি তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া পূর্বে তালাইমারী মোড়েও পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে। টহলে আছেন র্যাব সদস্যরাও।

এরপরও মহানগরীতে রাস্তায় মানুষের চলাচল দেখা গেছে আগের দুই দিনের চেয়ে বেশি। কিছু কিছু রিকশা-অটোরিকশাও চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং কাঁচাবাজারের জন্য দুপুরে মহানগরীর সাহেববাজার এলাকায় মানুষের বেশ উপস্থিতি দেখা গেছে।

দিনভর মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে থাকছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার লকডাউন না মানায় ৫৭ জনের কাছ থেকে ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববারও অভিযান চলছিল।

এ দিন দুপুর ২টার দিকে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাত দিনের লকডাউন কঠোরভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মহানগরবাসীকে ঘরে থাকার আহবান জানান।

লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, লকডাউনের কেবল দুই দিন হলো। এখনই পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে না। এখন হাসপাতালে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে কিংবা রোগী ভর্তি হচ্ছেন তারা লকডাউনের আগেই আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৪ দিন লকডাউন দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নয়ন হবে। সাত দিনের লকডাউনে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে থাকছে সেটা দেখার পর নিশ্চয়ই প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

আরপি/ এস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top