ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১৭

আবারও মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এবার কুষ্টিয়ায় এনিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুর রাজ্জাক (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৭ জন।

নিহত ব্যক্তি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মানিকাট গ্রামের লুৎফর রহমানে ছেলে। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।

নিহতের দাদা মওলানা আইয়ুব আলী বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার সমর্থনে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রামের মধ্যপাড়া ও উত্তরপাড়ার দুটি মসজিদে একক নেতৃত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। তার দুই ছেলে মধ্যপাড়া ও উত্তরপাড়ার মসজিদে ইমামতি করেন। প্রতিপক্ষ অনেক দিন থেকে তার ছেলেদের বাদ দেয়ার চেষ্টা করছেন। এর সূত্র ধরে শুক্রবার জুমার নামাজে প্রতিপক্ষ তাদের লোকদের ওপর হামলা করে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, মধ্যপাড়ার মসজিদে জুমার নামাজে খুতবা পাঠ নিয়ে দুপক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আসলে নেতৃত্বের বিষয়টি একেবারে গৌন।

জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মানিকাট মধ্যপাড়ার জামে মসজিদের নেতৃত্ব ও ইমাম নিয়োগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। মসজিদ থেকে শুরু হওয়া হামলা পাল্টা হামলা পরে গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ হামলায় দুপক্ষের ১৭ জন আহত হন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেে আনে। আহতদের খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাকের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কুষ্টিয়া জেনালের হাসপাতাল, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসারধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এঘটনায় শুক্রবার রাতে খোকসা থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার এসব মামলায় গ্রেপ্তার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফ আলীসহ ছয়জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে করা মামলা দুটিতে মোট ছয়জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হলে অন্তত ১০ জন আহত হয়।

আরপি/আআ

---