রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


সান্তাহারে বাজার মনিটরিংয়ে কমছেনা নিত্য পণ্যের দাম


প্রকাশিত:
১৮ অক্টোবর ২০২০ ২১:৩৫

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৮

সান্তাহারের বাজার। ছবি: প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের সরকার কর্তৃক আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও মানছেন না ব্যয়সায়ীরা। নির্ধারিত মূল্য থেকে প্রায় ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। যার ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারন জনসাধারণ। প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে কোন না কোন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটোসহ শাকসবজিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত ১ মাস আগে কাঁচা বাজারে পণ্যের দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এখন প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে হঠাৎ আলুর দাম বেড়ে কেজিতে এখন ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর বাকি সবজিগুলোর বেশির ভাগ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১শ টাকায়। এমন লাগামহীন দামে কিনে খাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের। ক্রেতারা বলছেন, কোনো পণ্যের দাম এক বার বৃদ্ধি পেলে আর কমার কোন লক্ষণ দেখা যায় না।

জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাজার মনিটরিং করে প্রতি কেজি আলুর মূল্য হিমাগার পর্যায়ে ২৩, পাইকারী/আড়ত পর্যায়ে ২৫ ও ভোক্তা পর্যায়ে ৩০টাকা নির্ধারণ করেছেন। দাম নির্ধারণ করেও কোনো কিছুতেই ফলোদয় হচ্ছে না। যতক্ষণ সরকারি কর্মকর্তারা থাকে ততক্ষণ দাম কম, চলে গেলেই বেশি এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেতারা। অধিকাংশ বাজারে টানানো নেই মূল্য তালিকা। যদিও বা কোথাও তালিকা থাকলেও এর কার্যকর নেই বললেই চলে।

সান্তাহার পৌর শহরের বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলুর মূল্য ৪৮, কাঁচা মরিচ ১৮০, পিঁয়াজ ৮০, পোটল ৭০, বেগুন ৭০, টমেটো ১৪০, করলা ৮০ টাকাসহ শাকসবজি বিক্রিয় করা হচ্ছে চড়া দামে।

সান্দিড়া গ্রামের আমান উল্লাহ বলেন, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে মাসে বেতন ৭ হাজার ২শ টাকা। পরিবারের ৬ জন সদস্যের ১দিনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমসিম খাচ্ছি। কোনো রকমে জীবন পার করছি। ছাতিয়ানগ্রাম এলাকার মিলন হোসেন বলেন, বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গেলে পণ্যের দাম শুনে চোঁখ কপালে ওঠার উপক্রম হয়। তবে কি আর করার জীবনে বেঁচে থাকলে হলে কিনে তো খেতেই হবে। তবে আমাদের পক্ষে এত বেশি দামে কিনে খাওয়া খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। এরপরও কম বেশি কিনে নিতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা সারমিন বলেন, দাম তো বৃদ্ধি করাই যাবে না। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছি। বাজার মনিটরিং অভিযান চলমান আছে। আমি আজকেও মনিটরিংয়ে বের হবো এবং এ অভিযান প্রতিদিনই অব্যহত থাকবে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top