রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


সান্তাহারে অবৈধ সার ব্যবসায়ী সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত:
৩ মার্চ ২০২২ ২০:৫৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:১৬

ছবি: উদ্ধারকৃত সার

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে অবৈধ সার ব্যবসায়ীর দোকান থেকে উদ্ধার করা বিপুল পরিমান রাসায়নিক সার জব্দ না করে মাত্র ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনার একদিন পর ওই অবৈধ সার ব্যবসায়ী সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামে মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স নামক দোকানের মালিক দীর্ঘ দিন ধরে চোরাই রাসায়নিক সারের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলা কৃষি বিভাগ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা হকের নেতৃত্বে পরিচালত ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে সুমন ইসলাম নামের ওই ব্যবসায়ী সার ব্যবসা পরিচালনা করার লাইসেন্স এবং সার প্রাপ্তির বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।

এ কারনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দিপ্তী রাণী রায় ওই অবৈধ ব্যবসায়ী সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১২ (৬) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। এর ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবা হক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৭ দিনের জেল এর রায় ঘোষনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম শেষ করে চলে আসার পর ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবা হক মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স নামক দোকানের সাড়ে চার শত বস্তা অবৈধ ইউরিয়া সারগুলো সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা ওরফে তৃপ্তিকে হেফাজতে নিয়ে বিক্রি এবং পাচার রোধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ওই ব্যবসায়ী গতকাল বুধবার ভোরে প্রায় সোয়া তিন শ’ বস্তা সার অন্যত্র পাচার করে দেয়।

এ বিষয়ে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা ওরফে তৃপ্তি বলেন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবা হক আমাকে রাতে সান্দিড়া গ্রামে মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স নামক দোকানের ইউরিয়া সারগুলো হেফাজতে নিয়ে বিক্রি এবং পাচার রোধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু গ্রাম পুলিশ না পাওয়া আর নিরাপত্তার অভাবে অনেক রাত হওয়ার কারনে আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

গতকাল বুধবার সকালে খবরটি জানাজানি হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারি ওই দোকান পরিদর্শন করে মাত্র ১১৭ বস্তা সারের মজুদ দেখতে পায়। পরে ওই সার বিক্রি না করার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারি বলেন, অবৈধ সার ব্যবসায়ী সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

 

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top