রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


এএসআইয়ের বিরুদ্ধে আসামিদের জামিনের দায়িত্ব নেয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২১ ০২:৪২

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২৭

ছবি: এএসআই মশিউদ্দীন

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামে তাস খেলার সময় তিনজন আটকের পর থানায় এনে এক জনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। অপর দুই জনকে মামলার ধারা কমাতে উৎকোচ চেয়ে না পাওয়ায় জামিন করাতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এএসআই মশিউদ্দীনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ৯৯৯ থেকে একটি ফোন পেয়ে গত সোমবার বিকেলে সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে তাস খেলার অভিযোগে তিন জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই ওই গ্রামের কতিপয় দালাল চক্রের মাধ্যমে সোমবার রাতেই রানা নামের একজনকে উৎকোচের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই দিন রাতে আসামীদের থানায় এনে মামলার ধারা কমিয়ে দিতে চেয়ে ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহীনা জোয়ারদারের কাছে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি ওই টাকা দিতে না চাওয়ায় ওই দিন রাতেই তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

পরের দিন মঙ্গলবার সকালে সান্দিড়া গ্রামের কতিপয় দালালদের ফোন করে তিনি (এএসআই মশিউদ্দীন) জামিনের জন্য কিছু টাকা নিয়ে আসতে বলেন। ওই দিনই আসামীদের পরিবারের সদস্যদের কাছে থেকে জামিনের জন্য দালালদের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকা পুলিশের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশি মোছা: ছায়া বেগম। সান্তাহার ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহীনা জোয়ারদার অভিযোগ করে বলেন, আসামীদের মামলার ধারা কমাতে টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি আসামী পক্ষের লোকজনদের টাকা দিতে দেইনি। পুলিশের কাজ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোর্টে পাঠানো, ধারা কমাতে ঘুষ চাওয়া নয়।

এএসআই মশিউদ্দীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহিন। ধারা কমানোর জন্য কোনো টাকা চাওয়া হয়নি।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে বিষয়টি জানা আছে। কিন্তু ধারা কমানো বা জামিনের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে বিষয়টি জানা নেই। তবে জামিনের দায়িত্ব পুলিশ নিতে পারে না। রানা নামে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার হয়েছে কারন ওই ঘটনার সাথে সে জড়িত ছিল না।

আরপি/ এসআই

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top