রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রশাসনকে বলেও রক্ষা পেলো না বাল্যবিয়ে থেকে


প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২১ ০৫:০৬

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩০

প্রতিকী ছবি

বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রশাসনকে অবহিত করেও বাল্য বিয়ের হাত থেকে রেহাই পায়নি এক নাবালিকা। আদমদীঘি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হাতে নাম মাত্র মুচলেকা ধরিয়ে দিয়ে আয়োজক দুই পক্ষ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে বলে দাবী করেছেন গ্রামের সচেতন মহল।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের পাইকপাড়া গ্রামে। এদিকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ বিয়ে বাড়িতে কয়েক ঘন্টা বসেছিলেন কেন এমন প্রশ্ন ঘুড়পাক খাচ্ছে সবার মনে। কয়েক ঘন্টা বসে থেকে বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়া এবং বিয়ে না করা সংক্রান্ত মুচলেকা নিয়ে ওই কর্মকর্তা ফিরে আসার পরই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে করে গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভের।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত হাছেন আলীর প্রবাস ফেরত ছেলে ছাইদুল ইসলামের (৩০) ১৪ বছর বয়সের এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করে। ওই নাবালিকা ছোট বেলা থেকেই পাইকপাড়া গ্রামের নানা আনছার আলীর বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। ওই নাবালিকার নানার বাড়ি পাইকপাড়ায় বাল্যবিয়ের আয়োজন করতে বাধ্য হয় গ্রামের সচেতন মহল।

বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করে স্থানীয় লোকজন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি হিসাবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ দু’জন গ্রাম পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় বিয়ের আয়োজকরা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ফেলে। এরপর প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না এবং করবে না বলে বর ও কনে পক্ষের দেওয়া একটি মুচলেকা নিয়ে ফিরে আসেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।

কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি বিয়ে। গ্রামবাসীদের প্রশ্ন যে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে আসা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিয়ে বাড়িতে কয়েক ঘন্টার বসে থেকে কি করছিলেন। গ্রামবাসীদের দাবী মুচলেকা আদান-প্রদানের নাটক সাজিয়ে জনগণকে ধোকা দিয়েছেন আয়োজক পক্ষ এবং প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে পুরো গ্রাম জুড়ে।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে বর ও কনে কাউকেই পাওয়া যায়নি। বিয়ের আয়োজকদের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিয়ে বাড়ীতে কয়েক ঘন্টা অবস্থান করা ব্যাপারে কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

 

আরপি/এসআর-১৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top