রাজশাহী শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র ১৪৩১

বিক্রি হলো টাওয়ার কোম্পানি এবি হাইটেক, অধিগ্রহণে পিনাকল


প্রকাশিত:
১১ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৩১

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৭:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

টাওয়ার কোম্পানি এবি হাইটেক অধিগ্রহণ করে দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতে প্রবেশ করলো পিনাকল ।শিগগির এবি হাইটেকের নতুন নাম হচ্ছে ‘ফ্রন্টিয়ার টাওয়ার্স বাংলাদেশ লিমিটেড’।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের এবি হাইটেকের টাওয়ার সংখ্যা ৩৯৪টি। এরমধ্যে পূর্ণ টাওয়ার ২১০ টি, কাজ চলমান ১৮৪ টি  টাওয়ারের।

টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, নির্মাণ ও পরিচালনার ব্যবসা করে পিনাকল টাওয়ার (পিনাকল) । গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম কেকেআর এর বিনিয়োগ রয়েছে পিনাকলে। ফিলিপাইনে পিনাকলের ব্যবসা রযেছে। বাংলাদেশে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তাদের এই যাত্রা

এবি হাইটেক (এবিএইচটি) এর ৬৩ শতাংশেরও বেশি অংশ কিনেছে পিনাকল।

এবি হাইটেকের কোম্পানি সচিব এবং হেড অব লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল জানান, ৪ অক্টোবর এবি হাইটেককে অধিগ্রহণ করেছে পিনাকল। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন নামে আসছে এবি হাইটেক।

বাংলাদেশে পিনাকলের মালিকানায় রয়েছেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, জেনেক্স ইনফোসিসের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আদনান ইমাম, সেবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ চৌধুরী এবং স্ট্র্যাটেজিক হোল্ডিংসের ভাইস-চেয়ারম্যান শাহনুল হাসান খান।

তথ্য অনুসন্ধান ও সংবাদ জিজ্ঞাসা ছাড়াও এই অধিগ্রহণ বিষয়ে এক সংবাদ বিবৃতিতে নিজেদের অভিমত জানান কোম্পানি দুটির অংশীদাররা।

যেখানে পিন্যাকলের চেয়ারম্যান ও সিইও প্যাট্রিক ট্যাংনি বলেন, ‘ডিজিটাল সংযোগ হলো একটি প্রাণবন্ত বাজারে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। আর আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ও ডিজিটাল সংযোগের অব্যাহত সম্প্রসারণকে সমর্থন করতে পেরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।’

এবিএইচটির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে পিনাকলের প্রবেশ দেশের টেলিকম সেক্টরের জন্য দারুণ খবর ও একটি সুযোগ। দেশের টেলিকম অবকাঠামো উন্নয়নে সমর্থন বজায় রাখতে আমরা সর্বদা প্রচেষ্ট।’

এবিএইচটির পরিচালক আদনান ইমাম জানান, ‘এটি এবিএইচটির জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। আমরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভিন্ন কিছু করতে পারব বলে আশা রাখি।’

দেশে এবি হাইটেক ছাড়াও টাওয়ার কোম্পানি রয়েছে ইডটকো, সামিট টাওয়ার এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার । চারটি টাওয়ার কোম্পানির মোট টাওয়ার সংখ্যা হলো ১৬ হাজার ২৬৩টি।

যেখানে ইডটকোর টাওয়ার সংখ্যা ১৪ হাজার ১২১টি। এরমধ্যে পূর্ণ টাওয়ার ১৩ হাজার ৬০৯ টি, কাজ চলমান ৭৮ টি এবং কার্যাদেশ আছে কিন্তু কাজ শুরু হয়নি এমন ৪৩৪ টি টাওয়ার।

সামিটের টাওয়ার রয়েছে ১ হাজার ৩৩৬টি। এরমধ্যে পূর্ণ টাওয়ার ১ হাজার ৩ টি, কাজ চলমান ২৫৭ টি এবং কার্যাদেশ আছে কিন্তু কাজ শুরু হয়নি এমন ৭৬ টি টাওয়ার।

কীর্তনখোলার আছে ৪১২ টি। এরমধ্যে পূর্ণ টাওয়ার ৩১৪ টি, কাজ চলমান ৭৭ টি এবং কার্যাদেশ আছে কিন্তু কাজ শুরু হয়নি এমন ২১ টি টাওয়ার।

আর দেশে সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট নিজস্ব টাওয়ার রয়েছে ২২ হাজার ২৬৪টি। যেখানে অপারেটরগুলো দাতা হিসেবে ৪ হাজার ১০২ টি টাওয়ার শেয়ার করেছেন।

এরমধ্যে গ্রামীণফোনের নিজস্ব টাওয়ার ১০ হাজার ২৯৮ টি, শেয়ার করা টাওয়ার ২ হাজার ২৮১ টি। রবির ২ হাজার ৪৬৬ টি নিজস্ব আর শেয়ার করা টাওয়ার ৭৩১টি। বাংলালিংকের নিজস্ব টাওয়ার ৬ হাজার ১৩৮ টি, শেয়ার করা ১ হাজার ৯০ টি এবং টেলিটকের নিজস্ব টাওয়ার ৩ হাজার ৩৬২ টি, কোনো শেয়ার নেই।

সূত্র: টেকশহর

আরপি/ এসএইচ ১৫

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top