রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাপল ও গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তদন্তে যুক্তরাজ্য


প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২১ ১৮:৪৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪০

ফাইল ছবি

টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগলের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের সরকারি দফতর কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ)। মঙ্গলবার (১৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও গুগলের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারটি তারা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে। তাদের তদন্তের আওতায় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ও আইফোন অপারেটিং সিস্টেমও রয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির বাজারে এই দুই প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া কতৃত্ব কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে সেটিও দেখা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে সিএমএ বলেছে, ‘অ্যাপল ও গুগল তাদের পণ্য বা সেবা অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করছে এবং এতে ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম দুটি বিজ্ঞাপনের জন্যও অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করছে। এ বিষয়ে আমরা অবহিত।’

গুগল বলেছে, অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমে যুক্তরাজ্যের ডেভেলপারদের জন্য তারা ২৮০ কোটি ডলার রাজস্ব এবং ২ লাখ ৪০ হাজার চাকরি জমা করে রেখেছে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর প্ল্যাটফর্মটিতে বড় পরিবর্তন আনা হবে। তবে এ ব্যাপারে অ্যাপল এখন অবধি কোনো মন্তব্য করেনি।

কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটির প্রধান নির্বাহী আন্দ্রিয়া কসসেলি বলেন, ‘অ্যাপল এবং গুগল উভয় প্ল্যাটফর্মই অ্যাপ ডাউনলোড কিংবা ওয়েব ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অনলাইন শপিং, গেমস অথবা ডিজিটাল টিভি দেখা- যেকোনো ব্যাপারেই তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীর ওপর চাপিয়ে দেয়। আমরা তদন্ত করে দেখতে চাই বিষয়টি ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে কি না।’

এর প্রতিক্রিয়ায় গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটিকে নতুন নীতিমালা প্রয়োগ করার আগে আমাদের সম্পর্কে জানার জন্য এই তদন্তে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’

বিবিসি জানায়, অ্যাপস্টোরকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ইতোমধ্যেই কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটির তদন্তাধীন রয়েছে। একইভাবে গুগলও তাদের প্রস্তাবিত প্রাইভেসি সিস্টেমকে কেন্দ্র করে তাদের তদন্তের আওতায় পড়েছে। সিএমএ মনে করছে, এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে সংবাদকর্মীদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই এই তদন্ত শেষ হয়ে যাবে।

 

 

আরপি/এসআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top