রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

নগরীতে সবজির দাম কমলেও তেল-চালের বাজার চড়া


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১২

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৮

সাহেব বাজার কাঁচা বাজার

নগরীতে কমতে শুরু করেছে সব রকমের সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৫ থেকে ১৫ টাকা কমেছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। দাম কমায় ক্রেতারাও বাজার করছেন সানন্দে।

শুক্রবার সকালে রাজশাহী সাহেব বাজারসহ অন্যান্য কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে লোকজনের পাশাপাশি সবজির আমদানিও হয়েছে বেশ। সব রকমের সবজির দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা যেমন বাজার করছেন আনন্দে, তেমনিভাবে বিক্রেতাদের মাঝেও বিরাজ করছে হতাশা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির মূল্য নেমে এসেছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। আগামীতে আরও কমবে বলে জানায় একাধিক বিক্রেতা।

কেজিতে ৫ টাকা কমে শিম ২৫ টাকা ও পেঁপে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মুলা ১০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।

আবারো কমেছে বেগুনের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা দরে। এছাড়াও ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকা, কলা হালিপ্রতি ১৬ টাকা, করোলা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এসময় সবজি ক্রেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, এরকম দাম থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জীবনধারণ সহজ হয়। পাশাপাশি দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরও কষ্ট লাঘব হয়।

কমেছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পুরাতন আলু পাওয়া গেছে ৩৮ টাকায়। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া নতুন আলু পাওয়া গেছে ৪০ টাকায়। বাজারে নতুন আলু আসায় ক্রমেই দাম কমছে বলে জানায় বিক্রেতারা।

আবারও কমেছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। অপরিবর্তিত আছে আদা রসুনের দাম। গত সপ্তাহের মতোই জাতভেদে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে রসুন ও ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে আদা। কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

শাকের মধ্যে প্রতি আটি (এক কেজি) লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা, মুলা পাতা ১০ টাকা, সরিষা শাক ১৫ টাকা, সবুজ শাক ১৫ টাকা ও পালং শাক ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এসময় শাক বিক্রেতা আতাউর রহমান ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ৪০০ টাকা মন শাক কিনে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে১০০ টাকায়। এত কম দামে বিক্রি করায় লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়েছে প্রায় সব রকমের চালের দাম। আটাশ ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা, কাটারিভোগ ৫৮ টাকা, কালোজিরা আতপ জাত ভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, বাসুমতী ৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেজি প্রতি বেড়েছে বলে জানায় একাধিক বিক্রেতা।

বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে লিটার প্রতি ৫ টাকা বেড়ে প্যাকেটজাতক সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, আর খোলা জাতের সয়াবিন পাওয়া গেছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে পাইকারী বিক্রেতারা বাড়ানোয় এমন হয়েছে বলে জানায় একাধিক বিক্রেতা।

মাছের মধ্যে, প্রতি কেজি ইলিশ আকারভেদে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা, সিলভার ১২০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, বাটা মাছ ১৪০ টাকা, রুই ১৮০ টাকা, মৃগেল ১৫০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০ টাকা, বিদেশি কৈ ২০০ টাকা, কাতলা মাছ ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া মুরগির মধ্যে প্রায় আগের মতোই ব্রয়লার ১২০ টাকা, সোনালী ১৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর রাজহাঁস ৪০০ টাকায় ও ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে পাতিহাঁস ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের মধ্যে গত সপ্তাহের মতো গরু ৫৪০ টাকায় ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ডিমের মধ্যে পোল্ট্রির সাদা ডিম ২৮ টাকা, লাল ডিম ৩০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top