রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও এক পুলিশ বরখাস্ত


প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৫:০৭

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৫

ফাইল ছবি

পুরান ঢাকার আদালতপাড়া থেকে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নূরে এ আজাদ নামে দায়িত্বপ্রাপ্ত আরও এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হলো।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের কাছে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের ওপর স্প্রে ও কিল-ঘুষির ঘটনায় আহত হয়েছিলেন পুলিশ সদস্য নূরে এ আজাদ। এরপর থেকে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সবশেষ শনিবার (২৬ নভেম্বর) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে যান তিনি। পরে নূরে এ আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগেও জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা ওই পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।

গত ২০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন ওরফে দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে আদালতের প্রধান ফটকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা। ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সেই রাতেই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জুলহাস উদ্দিন আকন্দ একটি মামলা করেন। মামলায় ছিনতাই হওয়া দুই আসামিসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

এদিকে, জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে রেডএলার্ট জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জঙ্গিদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top