রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


এবার ভিপি নুরকে নিয়ে কবিতা ভাইরাল


প্রকাশিত:
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:২৬

ছবি: নুরুল হক নুর

নুরুল হক নুর বাংলাদেশের একজন ছাত্রনেতা। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে তিনি আলোচনায় আসেন।

তিনি ২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।

তাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখেছেন কবিয়াল বাঙ্গালী নামে এক লেখক। লেখক কুমিল্লা আইন কলেজে অধ্যায়নরত রয়েছেন বলে কবিয়াল বাঙ্গালী নামের ফেফবুক আইডি থেকে পাওয়া যায়। ফেসবুক পেইজ কোটা সংস্কার চাই (বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ) থেকে কবিতাটি প্রকাশ করা হয়।

কবিতাটি লেখক উৎসর্গ করেছেন ভিপি নুরের নামেই।

কবিতাঃ নুরু থেকে ভিপি
লেখকঃ কবিয়াল বাঙালি
উৎসর্গঃ নুরুলহক নুর

পটুয়াখালির তাগড়া যুবক
এলো ঢাবির বুকে,
ভয় নেই তার মনের মাঝে
প্রাণ হারানোর শোকে।

সেই ছেলেটি ডাকসু ভিপি
উনিশ নির্বাচনে,
বাইশ বছরে যার ইতিহাস
হারায় নির্বাসনে।

মা নিলুফা মারা গেল
তাকে ছোট্ট রেখে,
বাবা তাকে করল মানুষ
আদর সোহাগ মেখে।

গর্বিত এক বাবা তাহার
ইদ্রিস হাওলাদার,
দুই ভাই আছে উত্তরাতে
মুদি দোকানদার।

তিন ভাই আর একটি বোনে
ছোট্ট পরিবার,
দ্বিতীয় ছেলে নুরুই হলো
জাতির অহংকার।

স্কুলকালে নুরু ছিল
ছাত্রলীগের পদে,
সেই সংগঠন ছাড়ল নুরু
কোটা প্রথা রদে।

ক্লাশ নাইনে ভর্তি হতে
গাজিপুরে আসে,
বিজয় স্মরণী স্কুল ছাড়ে
এসএসসি পাসে।

ভালো রেজাল্ট করল নুরু
নিজের নলেজে,
জ্ঞানের পথে পা বাড়ালো
উত্তরা কলেজে।

স্কুল কলেজে পড়ত নুরু
বিজ্ঞান বিভাগে,
মনের মাঝে লালন করে
রাজনীতিটা জাগে।

এবার নুরু ভর্তি হলো
ঢাকা ভার্সিটিতে,
মেধা দিয়ে সুযোগ পেল
বিভাগ ইংরেজিতে।

মহসীন হলে থাকত নুরু
লীগের কর্মী হয়ে,
পদ পেল সে যোগ্যাতাতে
নিজের পরিচয়ে।

চারদিকে উঠছে শ্লোগান
কোটা সংস্কার নিয়ে,
সব ক্যাম্পাসে মিছিল হল
অধিকার হারিয়ে।

ভার্সিটিতে ছাত্র সমাজ
ফুল্কার মত জাগে,
সৃষ্টি হল নতুন ধারা
যা দেখিনি আগে।

সবাই যখন খুঁজছে দেশে
রণ কাঁপানো বীর,
রাশেদ, মামুন, ফারুক, নুরু
আওয়াজ তুলে শির।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মী
মারছে বারেবার,
তবু নুরু হাল ছাড়ে না
চাইতে অধিকার।

নুরু রাশেদ ফারুক নামে
কোটা পরিষদ,
আখতার এসে হাল ধরেছে
সমাজ সেবা পদ।

পঁচিশ পদের নির্বাচনে
তেইশটি পদে জয়,
আখতার নুরুর বিজয়ে তবু
ছাত্রলীগে ভয়।

রাতেরবেলা বাক্স ভরে
ছিনিয়ে নিল ভোট,
প্রহসনের নির্বাচনে
অধিকার হল লুট।

ছল চাতুরী করছে হাজার
ভিসি বাবু বনে,
উপরে সবাই লীগের ভোটার
নুরু রাশেদ মনে।

রাশেদ ফারুক হেরে গেল
ক্ষমতাসীনের কৌশলে,
আমজনতার হৃদয়ে আজো
অধিকারের সুর তুলে।

এই কবিয়াল বলছে ভেবে
নুরুর ভবিষ্যত,
এই দেশেরই হাল ধরিবে
দেখবে অভিমত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top