রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিনজন


প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০২২ ০২:৩৩

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৪

সংগৃহিত

এই বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লাজার এবং অ্যান্টন জেইলিঙ্গার। কোয়ান্টাম ইনফরমেশন নিয়ে গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে চারটার দিকে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস বলেছে যে, আলোচিত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য, বেল অসমতা এবং অগ্রণী কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানের লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাদেরকে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

গ্রাউন্ডব্রেকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে, অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন ক্লজার এবং অ্যান্টন জেইলিঙ্গার আটকে থাকা অবস্থায় থাকা কণাগুলোকে তদন্ত এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন। আটকানো জোড়ায় একটি কণার কী ঘটবে তা নির্ধারণ করে অন্যটির কী ঘটবে। তারা একে অপরকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক দূরে থাকলেও এমনটি ঘটবে। এমন পরীক্ষার মাধ্যমে তারা কোয়ান্টাম প্রযুক্তির একটি নতুন যুগের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

সোমবার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিনে ঘোষিত চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই পুরস্কার জিতেছেন সুইডেনের সাভান্তে পাবো। বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানব বিবর্তন বিষয়ক গবেষণার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করে হবে রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম। ৬ অক্টোবর সাহিত্যে ও ৭ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। দুই দিন বিরতির পর আগামী ১০ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের মোট ছয়টি শাখায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা।

এবার নোবেল ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের বিজয়ীদের সঙ্গে ২০২০ ও ২০২১ সালের বিজয়ীদেরও আগামী ডিসেম্বরে সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল সপ্তাহে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন:বাবাও পেয়েছিলেন নোবেল: কী ছিল গবেষণা?

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

আরপি/ এসএইচ 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top