রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি হারার পাঁচ কারণ


প্রকাশিত:
৩ মে ২০২১ ১০:১৩

আপডেট:
৩ মে ২০২১ ১০:৪১

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের অনেক আশা ছিল এবার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। শুধু বিজেপি’র কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারাই নয়, গোটা সংঘ পরিবার অনেকটাই নিশ্চিত ছিল জয় নিয়ে। তবে তা বাস্তবে রূপ পায়নি। এখন ঠিক কী কী কারণে হারতে হলো, সর্বভারতীয় দলটির নেতারা তা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। বিজেপির নেতারা প্রধানত ৫টি কারণ চিহ্নিত করছেন।

যে ৫ কারণে পশ্চিমবঙ্গে হেরেছে বিজেপি-

১। বিজেপি নেতারা নির্বাচনের প্রচার পর্বে অনেক পরিশ্রম করলেও কোনো একটি 'মুখ' তুলে ধরতে পারেননি। এই সিদ্ধান্ত ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরই। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা বারবার বাংলার ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে জানালেও আলাদা করে কারও নাম বলেননি। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখ ছিলেন ১০ বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা লড়াকু নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত 'বাংলার মেয়ে' মমতা ব্যানার্জি।

২। বাংলার কোনও নেতাকে মুখ হিসেবে তুলে না ধরার জন্য নীলবাড়ির লড়াইয়ে বড় বেশি নির্ভরতা ছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর। আর সেই নির্ভরতাকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি প্রাথমিকভাবে মনে করছে, মমতা ব্যানার্জিসহ তৃণমূলের এই আক্রমণকেই সমর্থন দিয়েছে বাংলার মানুষ।

৩। রাজ্য বিজেপি আরও একটি কারণকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দলের বক্তব্য, ২০১৬ সালে বিজেপি রাজ্যে মাত্র ৩টি আসনে জিতেছিল। সেখান থেকে একেবারে ক্ষমতায় আসার যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল তা দলের অভিজ্ঞতার তুলনায় অনেকটাই বেশি। লোকসভা নির্বাচনের ফলকে বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রেও প্রাধান্য দেওয়া ঠিক হয়নি। তাই এই হারকে বড় মনে হচ্ছে।

৪। মেরুকরণকে হাতিয়ার করে নীল বাড়ির লড়াইয়ে ফায়দা তুলতে চেয়েছিল বিজেপি। প্রচার পর্বে অনেক ক্ষেত্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ তুলতে কড়া ভাষা প্রয়োগ করেছেন নেতারা। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে এর ফলে মুসলিম ভোট এককাট্টা হলেও হিন্দু ভোটের সিংহভাগ ঝুলিতে টানা যায়নি।

৫। বিজেপিতে ‘আদি ও নব্য’ বিবাদ অনেক দিনের। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ নিয়ে দলের মধ্যে অনেক গোলযোগ হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তৃণমূল থেকে যারা এসেছেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া দলের কর্মী, সমর্থক এবং ভোটাররা ভালো চোখে নেয়নি বলেই মনে করছে বিজেপি। একই সঙ্গে রাজ্য নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যের সর্বত্রই প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেক ভুল ছিল। 

 

 

আরপি/এসআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top