রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


পদ্মা সেতু উদ্বোধন

এসএসসির পরীক্ষার সময় পরিবর্তন


প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২২ ০২:৪২

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন হওয়ায় এবারের ২৫ জুনের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এক দিন এগিয়ে ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (১২ জুন) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই কথা জানান। এর আগে মন্ত্রী আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন গোটা জাতি উৎসবে মাতবে। এজন্য ওই দিনের পরীক্ষা এক দিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ওইদিন এসএসসির ইংরেজি (আবশ্যিক) ১ম পত্র, দাখিলের বাংলা ২য় পত্র, ভোকেশনালের এসএসসি ও দাখিলের গণিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

রুটিন অনুযায়ী এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুন। আর শেষ হবে ৬ জুলাই। সব পরীক্ষাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ধরে এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। এসএসসি ও সমমানের পাশাপাশি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও কয়েক মাস পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার

শিক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসবে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দুই লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে। আগামী ১৯ জুন এই পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ৬ জুলাই। সারাদেশে তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

দীপু মনি জানান, এ বছর সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন অংশগ্রহণ করবে। এবার দেশের ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।

মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। তবে গত বছরের চাইতে মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৫৬টি এবং মোট পরীক্ষাকেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি।

এ বছর ঢাকা বোর্ডের আওতায় মোট পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৮ জন। এছাড়া রাজশাহীতে এক লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন, কুমিল্লায় এক লাখ ৮৮ হাজার ৭১৪ জন, যশোরে এক লাখ ৭০ হাজর ৩৭৭ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৪৯ ৭১০ জন, বরিশালে ৯৫ হাজার ৯৭৬ জন, সিলেটে এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ৭৩ হাজার ৯৬১ জন এবং ময়মনসিংহে এক লাখ ১২ হাজার ৯৪৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। সব মিলে নয় বোর্ডের অধীনে মোট ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন অংশগ্রহণ করবে।

অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নয় হাজার ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। মোট ৭১৫টি কেন্দ্রে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন অংশ নেবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট দুই হাজার ৮১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। দেশের ৮২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

দেশের বাইরে আটটি দেশে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৭০ জন, রিয়াদে ৪৮ জন, ত্রিপলিতে চারজন, দোহাতে ৬৮ জন, আবুধাবিতে ৫৯ জন, দুবাইয়ে ৩১ জন, বাহরাইনে ৫৩ জন এবং ওমানে ৩৪ জনসহ মোট ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হবে। যদি কেউ এরপরে প্রবেশ করে তবে গেটে রেজিস্ট্রার খাতায় দেরির কারণ উল্লেখ করে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য অতিরিক্ত মোট ২০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হবে। ২০২২ সালের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টার বদলে দুই ঘণ্টা (এমসিকিউ ২০ মিনিট ও সিকিউ ১৪০ মিনিট) করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ৬০ দিনের মধ্যে এ পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top