রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


বাড়তে থাকা এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমছে


প্রকাশিত:
২৯ আগস্ট ২০২২ ০৪:৪৭

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৪

সংগৃহিত

বাড়তে থাকা এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমছে। গত জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মোট ৫৬৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। আগের মাস জুনের তুলনায় যা ১৬৯ কোটি ডলার বা ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ কম। আর এলসি নিষ্পত্তি আগের মাসের চেয়ে ১০ শতাংশের বেশি কমে ৭৬৬ কোটি ডলারে নেমেছে। অবশ্য গত বছরের একই মাসের তুলনায় জুলাইতে এলসি খোলা প্রায় ১১ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি ৬৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যে কারণে ডলারের ওপর চাপ এখনও রয়েছে।

করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে বাড়তে থাকা আমদানি কমিয়ে ডলার সাশ্রয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের টাকা ঠিকমতো ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। জুলাইয়ে রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমদানি কমানোর ধারা ঠিক থাকলে বিনিময় হারে অস্থিরতা শিগগিরই কেটে যাবে বলে বলা হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে শিল্পে ব্যবহূত কাঁচামালের ২৫৬ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি করা হয়। এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম ১২৯ কোটি ডলার, ভোগ্যপণ্য ৬৫ কোটি, মূলধনী যন্ত্রপাতি ৬২ কোটি, মধ্যবর্তী পণ্য ৪৭ কোটি এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য ২০৬ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এলসি খোলা কমলেও বকেয়া দায় পরিশোধের কারণে ডলারের ওপর চাপ এখনও কমেনি। যে কারণে তদারকির পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত বিক্রি দাঁড়াল ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে বিক্রি করা হয় ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে বৃহস্পতিবার ৩৯ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

আরপি/ এসএইচ ১৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top