রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


‘ঋণের সুদহারের সীমা তুলে দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেসরকারি খাত’


প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২২ ০৪:৩১

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৪

বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ (৯ শতাংশ) সীমা উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, বিশ্ব এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে। বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সুদহারের এক অঙ্কের নির্দেশনা তুলে দিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিঘ্নিত হবে সামগ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থা। এই মুহূর্তে লেন্ডিং ক্যাপ উঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত আসছে না।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গভর্নর।

তিনি বলেন, বিশ্ব এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে। বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব না। সুদহারের এক অঙ্কের নির্দেশনা তুলে দিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিঘ্নিত হবে সামগ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থা। এই মুহূর্তে লেন্ডিং ক্যাপ উঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত আসছে না।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই ব্যাংকগুলো চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মাধ্যমে দেশের ব্যাংক খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানার চেষ্টা করেছি। এখন ডলার সঙ্কট রয়েছে। এ সমস্যাও খুব বেশিদিন থাকবে না। আশা করছি দুই-তিন মাসের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে সবকিছু।

অনুষ্ঠানটি দুই সেশনে হয়। অপর সেশনে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা (এমডি) পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, খেলাপিঋণের কারণে আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইচ্ছাকৃত যেসব খেলাপি রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এটা করা না হলে ব্যাংক খাত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। বিতরণ করা এসব ঋণের মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। এটি বিতরণ করা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

 

আরপি/ এসএইচ ০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top