রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


স্ত্রীর অত্যাচারে বাড়ি ছাড়া স্বামী!


প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৩ ২০:৩০

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৬

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্ত্রীর অত্যাচারে স্বামী বাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৪ নং সদর ইউপি চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামে।

জানা গেছে, চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত আঃ রশিদের পুত্র আনিছুর রহমান ও কুন্দারামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে বিপা আক্তারের বিয়ে হয়। প্রায় ১৮ বছর সংসার করেন তারা। এর মধ্যে ২ বার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে পুনরায় রেজিস্ট্রি করে বিবাহ করেছেন তারা।

কিছু দিন থেকে আনিছুর রহমানের কাছে বাড়ি-ঘর স্ত্রী বিপা আক্তারের নামে লিখে চাইলে আনিসুর রহমান না দিলে তাকে গুন্ডা পান্ডার সহায়তায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আর এই ঘটনাকে ধামাচাপা নিতেই তার স্ত্রী আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে অভিযোগ করেন আনিছুর রহমান।

আদালত উক্ত মামলার উভয় পক্ষকে ঘর সংসার করতে নির্দেশ দেন কিন্তু পরবর্তীতে বাড়িতে এসে তার স্ত্রী একই ভাবে বাড়ি-ঘর দলিল করে নেওয়ার দাবি করে। স্বামীকে বাড়িতে বসবাস করতে দেয় না। এতে স্বামী আনিছুর রহমান স্থায়ী ৪ নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাছে লিখিত অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান সশরীরে গিয়ে আনিসুর রহমানকে বাড়িতে তুলে দিলে রাতে তার স্ত্রী বিপা আক্তার বাড়ির মালামাল ভাঙচুর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে আনিসুর রহমান বিভিন্ন মহলে ধর্না দিলেও তার কোন ব্যবস্থা না হওয়ার সে মানবতার জীবন যাপন করছে।

আনিছুর রহমান বলেন, আমার বাড়ির জায়গা আত্মসাতের জন্য কিছু অসৎ মানুষের সহযোগিতায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়।

বিপা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানায়, আমি আমার স্বামীকে বিশ্বাস পাচ্ছি না কারণ সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। আমি তো আমার নামে জায়গা লিখে চাই নি আমার ৩ সন্তান রয়েছে। তাদের নামে বাড়ির ২০ শতক জায়গার লিখে দিতে হবে।

ঘোড়াঘাট ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ভুট্টু জানায়, আনিসুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে রয়েছে। এ বিষয়ে ইউনিয়নে একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি গিয়ে আনিসুরকে বাসায় তুলে দিয়ে আসি এবং মিলেমিশে থাকার কথা বলি। কিন্তু শুনি সেই রাতেই আনিছুর কে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

আনিছুরের স্ত্রী ও শাশুড়ি বলেন, আমরা লোকাল বিচার সালিশ মিমাংসা মানি না। আমরা আদালতে মামলা করেছি। মামলা চলমান রয়েছে। 

 

 

 

আরপি


বিষয়: অত্যাচার


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top