রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ফাঁকা ক্যাম্পাসে গাছ কেটে সমালোচনার মুখে শাবি প্রশাসন


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৬

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৫:৫৯

ছবি: সংগৃহিত

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো দীর্ঘ ছুটিতে রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। বর্তমানে পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা। এই সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৬ জুলাই) সেই কেটে ফেলা গাছগুলোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কেন এই গাছগুলো কাটা হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন-ই এর পাশে সেন্টার অব এক্সিলেন্সের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই ভবনের রাস্তা তৈরির জন্য এসব গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ কেটে শিক্ষা ভবন-ই এর পাশেই স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লেখেন,‌ ‌‌‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন-ই এর সামনের এই গাছের খণ্ডিত টুকরো দেখে মনে হয়- কেউ মেরে ফেলেছে গাছগুলো।কোন অপরাধে মারা হলো, কে মারলো আমার জানা নেই। খোঁজ নেয়া চলছে। হয়তো শাবিতেও কোনো সাহেদ আছে।’

অন্যদিকে মো. জামশেদুল আলম নামের এক সাবেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘এই রকম সুন্দর একটা ক্যাম্পাসকে কোন ধরনের মানুষের মরু বানাতে সাধ হয়? কোন ধরনের যুক্তিতে গাছেদের লাশ বানাতে ইচ্ছে হয়।’

এছাড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থী মো. শাহিন বলেন, প্রাণ ও প্রকৃতি বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার প্রধান ফটকে দাঁড়াতে যাচ্ছি। যারা সিলেট আছেন নিজ নিজ জায়গা থেকে চলে আসতে পারেন। আর আমাদের পরিচিত যারা আছেন তাদেরকেও জানাতে পারেন নিজ নিজ ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে বা শেয়ার করে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সার্বিক বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সেন্টার অব এক্সেলেন্স ভবনের কাজ শুরু হয়ছে। এই ভবনের মূল রাস্তাটা শিক্ষা ভবন-ই ও এর পূর্ব পাশ দিয়ে। নকশা অনুযায়ী গাছটি রাস্তার মাঝখানে পড়েছে। তাই গাছটি কাটতে বাধ্য হয়েছি। আর রেইনট্রি গাছ বড় হলে পরিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। এই একটা গাছ কাটার কারণে সমালোচনা হচ্ছে। এখন বুঝাবো কী করে? আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো উন্নয়ন কাজ করা উচিত না। সব বন্ধ করে দেয়া দরকার।

 

আরপি / এমিবি-১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top