রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


আদমদীঘিতে সঙ্কটে ক্ষুদ্র ঋণ সমবায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠানগুলো


প্রকাশিত:
৩ মে ২০২০ ১৯:৫৬

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৩

প্রতীকি ছবি

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সমবায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠানগুলো। দীর্ঘদিন ছুটির কবলে পড়ে এ সব প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ঋণ আদায় ও সঞ্চয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে সমবায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরাসরি জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অস্তিত্ব রক্ষার্থে এনজিও ঋণের মতো সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনার অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও মহাসঙ্কটে পড়ে গেছে। বর্তমানে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিক সঙ্কট শুরু হয়েছে। সামনে খাদ্য সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য সমবায়ী সমিতির মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখতে হবে। একই সাথে এনজিওদের মতো সরাসরি ঋণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত দেশের সব সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে দাবি সংশ্লিষ্টদের। কারণ, চলমান পরিস্থিতিতে যারা ঋণ নিয়েছেন, কিন্তু আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সেটা পরিশোধ করতে পারছে না। আর এ সব প্রতিষ্ঠানে যারা সঞ্চয় রেখেছিলেন তারা অর্থ ফেরত পাচ্ছে না। এ জন্য সমবায় মন্ত্রণালয়সহ সমবায় অধিদফতর কে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন তারা।

সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জানান, সমবায় অধিদফতর থেকে নিবন্ধিত সমবায়গুলো তাদের সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও আমানত নেয়, আবার সমিতির সদস্যদের মধ্যেই ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সঞ্চয় গ্রহন ও ঋণ কার্যক্রম, ব্যাংকে এফডিআর সব মিলে বছর শেষে যে পরিমাণ মুনাফা হয় তা সমিতির সদস্যদের মধ্যে আনুপাতিকহারে বিতরণ করা হয়। কিন্তু দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে প্রতিষ্ঠাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘ দেড় মাসে সরকারি নির্দেশে প্রায় সব ধরনের অফিস বন্ধ রয়েছে। অধিকাংশ জেলা লকডাউন করা হয়েছে। এতে সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠাগুলোর নিয়মিত ঋণ কার্যক্রমসহ সব আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে।

এ বিষয়ে সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় লকডাউন ও সাধারণ ছুটির মধ্যে সমবায় সমিতি লিমিটেড প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো কাজ করতে পারছে না। এতে সমবায়ী সমিতি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যারা জড়িত আছেন তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠাগুলোকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে।

সান্তাহার যুগান্তর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সাগর খান বলেন, আমাদের মতো ছোট ছোট এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো আজ এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সদস্যরা ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারছেন না। আবার যারা সঞ্চয় রেখেছিলেন তাদেরও সঞ্চয় ভাঙানোর একটি চাপ তো রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য সমবায় অধিদফতরসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। সমিতির কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সমবায় অধিদফতর থেকে সুনির্দিষ্ট একটি সার্কুলার জারি করা একান্ত প্রয়োজন। 

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top