রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


আদমদীঘিতে সাংবাদিকদের সাথে প্রযোজক কন্যা বিন্দীর মতবিনিময়


প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২৩ ০৫:১২

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৫

ছবি: মতবিনিময়

খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক আজিজুর রহমানের আলিয়া রহমান বিন্দী বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। 

সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে সান্তাহার পৌরসভা শহরের সাঁতাহার মহল্লায় আজিজুর রহমানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় মরহুমের স্ত্রী ও চলচ্চিত্রের সাবেক প্রযোজক শামিমা রহমান, কানাডা প্রবাসী ছেলে সাইদুর রহমান ও তার ছোট দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময়কালে জানানো হয়, অঙ্কন শিল্পী থেকে খ্যাতি অর্জন করা পরিচালক আজিজুর রহমানের জীবদ্দশায় যত কাজ আছে সেগুলো এবং তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত খবর-প্রতিবেদন সংরক্ষন করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরির কাজ চলছে। এ কারণে যার কাছে যা আছে সেগুলোর কপি দিয়ে সহযোগীতার অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাবা আজিজুর রহমানের স্মৃতির কথা বিবরণ দিতে গিয়ে আলিয়া রহমান বিন্দী আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ১৯৬৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমার বাবা ৪১ বছরে ৫২ সিনেমা পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। এমন কি এক বছরে ৯ সিনেমা মুক্তি দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। প্রযোজক বিগ বাজেট করলেও আমার বাবা অল্প বাজেটে ভালো সিনেমা বানিয়ে প্রযোজক এবং ইন্ড্রাস্টির প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অনেক সিনেমা বিদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। অথচ তাঁর জীবদ্দশায় তো নয়ই মৃত্যুর পরও তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেওয়া দুরের কথা, যথাযথভাবে স্মরণ করার কথাও ভাবছে না কোন কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী (লাল কাজল ছবির শিশু শিল্পী হিসাবে) আরও বলেন, আমার বাবার অমর সৃষ্টি অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা, জনতা এক্সপ্রেস, লাল কাজল, মহানগর, মাটিরঘড়, অতিথি, সমাধান, অভিমান, শাপমুক্তি, অনুভব, গরমিল, অপরাধ, অহংকার,মায়ের আঁচল, কথা দাও, ঘরভাঙ্গা সংসারসহ প্রতিটি সিনেমার মাধ্যমে দেশও জনগনের সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দিয়েছেন নির্মল আনন্দ-বিনোদন। তার প্রতিটি সিনেমা ছিল অসম্ভব ব্যবসা সফল ও দর্শক নন্দিত। ঢাকায় চলচ্চিত্র জগতের স্বর্ণালী যুগের দর্শক নন্দিত, খ্যাতিমান ও অন্যতম প্রবীণ এই পরিচালকের ভাগ্যে এখন পর্যন্ত কোন সম্মাননা ও পদক জোটে নি। তার মাধ্যমে নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক হওয়া কেউ কেউ আজ জুরি বোর্ডের সদস্য হয়ে নিজেরাই নিজেদের সম্মাননার জন্য মনোনিত করে সম্মাননা-পদক নিয়েছেন। যা অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জার বিষয়। 

 

আরপি/এসআর-১৪


বিষয়: মতবিনিময়


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top