রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


অবশেষে জরিমানা করা সেই ছাগল পেলো মালিককে


প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২১ ০১:২৭

আপডেট:
২৯ মে ২০২১ ০১:৩৯

ছবি: জরিমানা করা ছাগল

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফুল গাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগল মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি ভাইরাল হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই ছাগল অবশেষে মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা ইউএনও দিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওই মহিলাকে ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম, শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। আর ছাগল বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর জরিমানা করার পর ছাগল কাজল নামে এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছিল; যাতে ছাগলের কোনো ক্ষতি না হয়। ওই মহিলা জরিমানার টাকা ফেরত দিতে পারেনি বলে দেননি।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো সংলগ্ন এলকায় বসবাস করে সাহারা খাতুন। তার স্বামীর নাম জিল্লুর রহমান। গত ১৭ মে তার ছাগলটি হারিয়ে যায়। অনেক জায়গায় তিনি ছাগলটির সন্ধান করেন। পরে এলাকার লোকজন তাকে জানায়, ছাগলটি ইউএনওর এক নিরাপত্তা কর্মীর নিকট রয়েছে। তিনি ইউএনওর বাসার পাশে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে দেখেন। এ সময় সাহারা বেগম ছাগল নিতে চাইলে তাকে ছাগল দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ওই নিরাপত্তাকর্মী।

নিরুপায় হয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গেলে তাকে তিনি বলেন, ফুল গাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল নিয়ে যান। সীমা শারমিন জানান, উপজেলা চত্বরে একটি পার্ক করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলের গাছ নিয়ে এসে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখানে ওই ছাগল এসে গাছের ফুলগুলো খেয়ে নিয়েছে কয়েকবার। এ বিষয়ে ছাগলের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু উনি কথা শোনেন নি। এ কারণে গণ উপদ্রুপ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ছাগলের মালিকের অনুপস্থিতিতে এভাবে জরিমানা করা যায় কিনা জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজল জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইন মতে অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ স্বীকার করতে হবে। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান বা ছাগলের মালিকের বিরুদ্ধে এভাবে জরিমানা করা ঠিক হয়নি। এই ঘটনায় প্রচলিত বৈধ রীতি খোয়াড়ে ছাগল রাখতে পারতেন। ছাগলের মালিক সাহারা বেগম জানায়, ১০ দিন পর তিনি তার ছাগল ফিরে পেয়েছেন।

 

 

 

 

আরপি/এসআর-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top