রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তির অনিশ্চয়তা, দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র


প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২৩ ০১:৩৬

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫০

ফাইল ছবি

সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের শিক্ষার্থী চান মিঞা। মেধা তালিকা অনুযায়ী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থ সংকটে অনিশ্চয়তায় ছিলেন তিনি।

তার এমন দুর্দিনের খবর পেয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ওই শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। 

জানা যায়, রাজশাহী নগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে সে। বিষয়টি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে শিক্ষার্থী চান মিঞার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।

মেয়রের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতেই চান মিঞার বাড়ি গিয়ে চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সব খরচ মেয়র বহন করবেন বলে জানান টিটু।

এরপরই হাসি ফোটে মেধাবী চান মিঞা ও তার রিকশাচালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগর পিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ চান মিঞার পরিবার।

জানতে চাইলে চান মিঞার বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুসাঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরও এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতোগুলো টাকা জোগাড় করা কখনই সম্ভব না।

ছেলে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র মহোদয়ের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

চান মিঞার মা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র মহোদয় যদি আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়ত ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করি।

এ ব্যাপারে চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি।

আমার বিশ্বাস ছিল, যদি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান স্যার আমার বিষয়টি জানেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আমার জন্য কিছু করবেন। মেয়র স্যার আমার ভর্তিসহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসতি এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন।

 

 

আরপি/এসআর-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top