রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

ঝরে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা কেজিতে


প্রকাশিত:
২৩ এপ্রিল ২০২১ ০২:১৪

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২১ ০২:১৬

ছবি: শত শত মণ আমের কড়ালি

রাজশাহীর বাঘায় খরায় প্রচান্ড তাপদ্রায়ে পরে বৃষ্টিতে ঝরছে আমের গুটি । ঝরে পড়া সেই কড়ালি আম গ্রামে মোড়ে মোড়ে ও বাজারের বিক্রিয় করতে দেখা গেছে। এই আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেকদিন প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় আমচাষিরা এই ক্ষতিতে মুখে পড়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল) উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারের মোড়ে এই কড়ালি আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা ওসব আম কুড়িয়ে দুই টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছেন।

উপজেলার দিঘা গ্রামের আমচাষি ময়েনউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈশাখের প্রচান্ড রোদে আমের বোঁটা নরম হয়ে যায়। একটু বাতাস হলেই গাছ থেকে শত শত মণ আমের কড়ালি ঝরে পড়ছে । গ্রামের সাধারণ মানুষরা এই আম কুড়িয়ে উপজেলার গ্রামের মোড়ে ও বাজারের বিক্রি করছেন।

বাউসা গ্রামের আমবাগান মালিক শাজাহান আলী মাষ্টার বলেন, খরায় আম ঝরে না পড়লে,বেশিরভাগ গুটি টিকে থাকলে চলতি বছর আমের বাম্পার ফলন হতো।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আমবাগান মালিক ও ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। তবে গত কাল প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টিতে হওয়ায় কিছুটা বিপর্যয় কেটে গেল। দ্রুততম সময়ে মধ্যে আবার বৃষ্টি দেখা না গেলে আমের ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

উপজেলার দিঘা বাজারের আমের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, বরাবর প্রতি বছর ঝরে পড়া কড়ালি আম কিনে ঢাকায় চালান করি। অনেকদিন প্রচান্ড খরার পরে বৃষ্টি হওয়ার খাওয়ার উপযোগীর আগেই কড়ালি আম পড়ায় দেড় টাকা থেকে দুই টাকা দরে ক্রয় করছি।

একই এলাকার বিক্রেতা আনছার আলী বলেন,লাল মোহাম্মাদ মাষ্টারের বাগানের পাশেই আমার বাড়ি। বাতাসে যে কড়ালি আম ঝরে পড়ছে, সেগুলো কুড়িয়ে বিক্রি করছি। বাগান মালিকরা এগুলোর টাকা নেয় না। তাদের টক/খাটা খাবার জন্য কুড়ানো আম কিছুটা দিয়ে আমরা কেজি ধরে বিক্রি করছি এসব আম।

উপজেলার পিরগাছা গ্রামের গুটি আম বিক্রেতা সানার বলেন, আমার নিজে তেমন বাগান নেই। অন্যের বাগানে ঝরে পড়া আম সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করি। তবে এ বিষয়ে বাগান মালিকরা কিছু বলে না।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রকৃতিকভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুটি ঝরছে। বৃষ্টির পরে কিছুটা আম ঝরে পড়েছে। এতে তেমনটা ক্ষতি হবে না । আম এখনও খাওয়ার উপযোগী হয়নি। তার পরও খাটা খাওয়ার জন্য কেউ কেউ মোড়ে মোড়ে ক্রয় করে করছেন।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top