রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী


প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২১ ০২:৪৪

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২১ ০৩:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে মঙ্গলবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। বেলা ১২ টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল থেকেই টানা অগ্নিদহনে যেন বিবর্ণ হয়ে উঠেছে সবুজ প্রকৃতি। রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। তীব্র দাবদাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একটু বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ার পরশ পেতে সাধারণ মানুষ যেন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, এটি তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। কয়েক দিনের টানা দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকূল। সারাদিন আগুন ঝরা রোদ আর প্রচণ্ড গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেই যেন গরম আর গরম। একটু স্বস্তি মিলছে না কোথাও। দিনের বেলায় দূরে থাক রাতেও গাছের পাতাও নড়ছে।

আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সব জিনিসপত্রই তেঁতে উঠেছে। বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় মাথার ওপরে ফ্যানটাও দিচ্ছে গরম বাতাস। কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীর আবহাওয়ার আর তেমন কোনো হেরফের হচ্ছে না। প্রতিদিনই ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীর তাপমাত্রা বাড়ছেই। এর আগে ১৪ এপ্রিল দুপুরে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সোমবার ছিলো ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মঙ্গলবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, তীব্র দাবদাহের কারণে করোনার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা। বিশেষ করে হাসপাতালের তিনটি শিশু ওয়ার্ডে যেন ধাপ ফেলার যায়গা নেই। বেডে ফ্লোরে সবখানেই গরমজনিত কারণে রোগী আর রোগী। একদিকে করোনা অন্যদিকে গরমজনিত রোগীর চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রাজশাহীর তাপমাত্রা কেবলই বাড়ছে। এতে করোনার মধ্যে ঘরে ঘরে আবার ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক, হিস্টিরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে এ তীব্র গরমে। তাই এ সময় বয়বৃদ্ধ ও শিশুদের রোদে না বের হয়ে ঠাণ্ডা পরিবেশের মধ্যে থাকার জন্য ও বিশুদ্ধ পানি, ডাব ও দেশি ফলমূল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

আরপি /আইএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top