রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ভরা মৌসুমেও উর্ধ্বমূখী রাজশাহীর কাঁচাবাজার


প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৫০

আপডেট:
৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৫২

 

আমাদের দেশে শীতকালে প্রায় সব ধরনের সবজির উৎপাদন হয়। ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে বাজারে মৌসুমী সতেজ সবজির সমাহার ঘটেছে। শীতের সবজি বাজারে আমদানী হওয়ার সঙ্গে সবজির দাম কমতে থাকে। কিন্তু এবছর যেন নিয়ম মানতে চায়ছে না বাজার। সবজির ভরা মৌসুম হলেও দাম বেশি প্রতিটি সবজির। 

গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের দামেরও খুব বেশি হেরফের হয়নি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ রকমভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, আমদানীকৃত বিদেশী পেঁয়াজ ১০০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজের গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৮০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, পেপে ১৫-২০ টাকা, সিম ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, ছোট করলা ৮০-৯০ টাকা ও বড় করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা, দেশি আলু ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও প্রায় সকল ধরনের শাক বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে।

কাঁচাবাজারের এমন চড়া দামে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে, ভরা মৌসুমকালে সবজির দাম কি কারনে এমন চড়া তার সঠিক কারন ব্যাখ্যা করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তারা বেশি দামে কিনছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন এমন মন্তব্য এসেছে বিক্রেতাদের কাছ থেকে।

মেহেদী হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, তাতে করে না খেয়ে থাকতে পারলে ভাল হয়। দেশ উন্নতি করছে; উন্নতি করছে শুনছি, কিন্তু কিভাবে উন্নতি করছে? আমাদের মত সাধারণ মানুষের পকেটে তো টাকা থাকছে না। মৌলিক চাহিদা পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছি। তাহলে উন্নতিটা হচ্ছে কার? ক্ষোভের সঙ্গে এমন প্রশ্ন রাখেন এই ক্রেতা।

অন্যদিকে, বাজারে আদা ১০০-১৪০ টাকা, রসুন ১৬০-১৮০ টাকা, মরিচ ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রকমভেদে বাজারে প্রতি কেজি খোলা লবন ২০ টাকা, প্যাকেট লবন ৩০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৮৫-৯০ টাকা, বোতলজাত ৯৫ টাকা, সরিষা তেল খোলা ১২০ টাকা ও বোতলজাত ১৩০ টাকার মত দামে বিক্রি হয়েছে।

ডালের মধ্যে রকমভেদে প্রতিকেজি মসুর ৫০-১০০ টাকা, মুগ ১২০ টাকা, মটর ৮০ টাকা, এ্যাংকর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজারে রকম ও ওজনভেদে ইলিশ ৬০০-১০০০ টাকা, পাবদা ৪৮০-৮০০ টাকা, সিলভার ১২০-২০০ টাকা, কই ২০০ টাকা, তেলাপুয়া ১৪০-১৮০ টাকা, শোল ৪০০ টাকা, রুই ১৮০-৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৫০ টাকা, মৃগেল ১৪০-১৬০ টাকা, কাতল ১৬০-৩২০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ টাকা, বড় শরপুটি ২০০ টাকা, সিং ৪৮০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, বাগাড় ৬০০-৯০০ টাকা, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের মধ্যে গরু ৪২০-৪৪০ টাকা, খাসি ৭২০-৭৫০ টাকা, সোনালী মুরগি ২০০ টাকা, ব্রয়লার ১১৫ টাকা, লেয়ার ১৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৩০, ৩২ টাকা, আটাশ ৩৫, ৩৭, ৪০ টাকা, মিনিকেট ৪৫, ৪৬, ৪৮ টাকা, কাটারীভোগ ৫৫, ৬০ টাকা, চিনিগুড়া ৯০, ৯৫ টাকা, আউশ চাল ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আল্লাহর দান চাউল ঘর’র প্রোপাইটার নান্নু মিয়া জানান, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। পূর্বে যেসকল চালের বস্তা ২৭০০ টাকা দরে কিনতে পাওয়া যেত, সেগুলো এখন ৩০০০-৩১০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন ধান উঠতে শুরু করলে মোটা চালের দাম আর বাড়বে না বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ী।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top