রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহীতে বেড়েছে সবজির দাম


প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২১ ০০:৫৫

আপডেট:
২৯ মে ২০২১ ০১:১৩

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে সপ্তাহ ঘুরে আবারও দাম বেড়েছে সবজির। সাথে বেড়েছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। শুক্রবার রাজশাহীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিতে ক্ষেতের ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। এতে বাজারে সবজির আমদানি কম হচ্ছে। ফলে কয়েকটা সবজির দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে, বাজারে সবজির দাম নিয়ে আপত্তি তোলেননি ক্রেতারাও। একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ লম্বা সময় ধরেই বাজারে পণ্যের দাম একইরকম রয়েছে। মাঝেমাঝে দুই একটা পণ্যের দাম ওঠানামা করলেও বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি ঢেড়স ২০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা, বরবটি দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সজনে ডাটা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন দাম বেড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ ২০-২৫ টাকা ও কলা ১৫-২০ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। এ সপ্তাহে সেটা বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়াও প্রায় অপরিবর্তিত থেকে আদা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, রসুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা ও শুকনো মরিচ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

ক্রেতা আব্দুল আউয়াল বলেন, দাম গতকালের চেয়ে একটু বেড়েছে। আবার দেখা কালকে দুই এক টাকা কমে যাবে। এরকমই চলছে। এরপরেও বাজারে কাঁচামালের আমদানিও কিছুটা কম দেখছি। এজন্য হয়তো দাম বেড়েছে।

সাহেববাজারের শাহ আলম এ্যান্ড সন্স স্টোর জানিয়েছে, বাজারে বোতলজাত প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬৪৫ টাকা ও সরিষা প্রতি কেজি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি চিনি ৬৮ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, সোনামুগ ১৪০ টাকা, ছোলাবুট ৬৭ টাকা, খেসারি ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, মটর ৯৫ টাকা ও এ্যাংকর ডাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রকমভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক কেজির ওপরে ওজনধারী মাছ এক হাজার ২০০ টাকা ও কেজির নিচে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
দাম কমার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্রেতা মো. আবুল বলেন, বাজারে মাছের আমদানি বাড়ছে না। এজন্য দাম কমছে না। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা রোড ক্লিয়ার হলে আমদানি বেশি হবে, তখন দাম কমতে পারে।

অন্যান্য মাছের মধ্যে রকমভেদে মৃগেল ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার ৯০ থেকে ১৫০ টাকা, কালবাউস ১৫০ টাকা, তেলপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা ও টাকি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

গত সপ্তাহের মতই প্রতি কেজি গরুর মাংস দশ টাকা বেড়ে ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও খাশির মাংস ৮০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংস বাজারের বড় ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে যা বলেছিলাম, সেই একই কারনে দাম বেশি। বাজারে গরুর সরবরাহ কম। মাংসের মোটামুটি চাহিদা রয়েছে। সে কারনে দাম দশ টাকা বেশি।

এছাড়াও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, সোনালীর দাম কমে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১০ টাকা কমে ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতা মো. কাজিম বলেন, মুরগির দাম উঠানামা করছে। গত সপ্তাহে দাম কমে আবার আজকে কয়েক টাকা বাড়তি। তবে লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন চাল। নতুন চালের দাম কিছুটা কম হলেও পুরোনো চালের দাম স্থির রয়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪৫ টাকা, নতুন আটাশ ৫০-৫২ টাকা, পুরোনো আটাশ ৫৫ টাকা, নতুন মিনিকেট ৫২-৫৫ টাকা, পুরোনো মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, অটো স্বর্ণা ৪৫-৪৬ টাকা, পোলাও চাল ৮০-৯০ টাকা, কাটারীভোগ ৭০ টাকা, গোল্ডেন পোলাও চাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

তন্ময় এন্টারপ্রাইজের নাসির হোসেন বলেন, বাজারে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। সেটা চালু হলে দাম কমতে পারে। তাছাড়া দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

 

 

 

 

আরপি/এসআর-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top